এসএসকেএমে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামে আহত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবীন মান্নার। ২৭ মার্চ তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
২৭ মার্চের ঘটনার পর তৃণমূল নেত্রী প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী সভা থেকে বারবার নন্দীগ্রামের আহত বুথ সভাপতির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও রবীন মান্নার খবর নিতেন নিয়মিত। ১৪ দিনের লড়াইয়ের পর মৃত্যু হল তাঁর।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, বিজেপি বাইরের রাজ্য থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রামে গিয়েও তৃণমূল নেত্রীর গলায় একই অভিযোগ শোনা যায়। ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন- Amit Shah: CRPF এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়]
ভোটের দিন বয়ালের বুথে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন মমতা ব্যানার্জি। বেরিয়ে এসে আঙ্গুলে ভি সাইন দেখান মমতা। এদিকে মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি।
ভোট শেষে দু’পক্ষই দাবি করছে তারা রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করবে। সব কিছুর মধ্যেই এদিনের ঘটনায় ফের একবার নন্দীগ্রাম নিয়ে তুলকালাম রাজ্য রাজনীতি।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র কলকাতা যান মৃতদেহ আনতে। নন্দীগ্রামে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, মৃতদেহ আনার পর দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে নন্দীগ্রাম থানার বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান করা হবে।
Comments are closed.