জিডিপি হতে পারে ১৯৪৭ এর পর সর্বনিম্ন, সংক্রমণ-লকডাউনের জোড়া ফাঁসে দমবন্ধ অর্থনীতি: ইনফোসিস কর্ণধার নারায়ণমূর্তি
কোভিডকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচার অভ্যাস করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে এ দেশের আইসিএমআর, সকলেই নিয়ম করে এ কথা বলে যাচ্ছেন। কোভিড নিয়ে বেঁচে থাকার পর্বের নাম হয়েছে নিউ নর্মাল। এবার কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে দুমড়ে যাওয়া অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একই সাবধাণ বাণী ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির গলায়। বললেন, পরিস্থিতি যা তাতে অর্থনীতি স্বাধীনতার সময়ে ফিরে যাচ্ছে। ভাইরাসের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির বেহাল অবস্থা সঙ্গে করে বাঁচাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির চিরাচরিত ধারণাকে। সেই আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও। সংক্রমণ ঠেকাতে এ দেশে জারি হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউন। কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ, বন্ধ হয়ে গিয়েছে অসংখ্য কারখানা, অফিস। বেতন কমেছে কোথাও আবার বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে কর্মীদের। সবমিলিয়ে সংক্রমণ ও লকডাউনের জোড়া বোঝা সামলাতে এখন ত্রাহি রব ভারতে। ভ্যাকসিন কবে হাতে আসবে অজানা। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে কাঁধে নিয়েই সামনের দিকে এগোতে হবে। সম্প্রতি একটি আলোচনাচক্রে এভাবেই নিজের মত ব্যক্ত করলেন ইনফোসিস কর্ণধার নারায়ণমূর্তি। বললেন, গ্লোবাল জিডিপি তলানিতে ঠেকেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সঙ্কুচিত। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত সম্পূর্ণ স্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের জিডিপি ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
ভারতে কী হবে?
নারায়ণমূর্তি বলছেন, ভারতের জিডিপি ৫ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা হয়ত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সর্বনিম্ন জিডিপিতে গিয়ে শেষ করব, এটাই ভয়ের।
শুধু আশঙ্কা নয়, ইনফোসিসের কর্ণধার বাতলে দিয়েছেন, এই সঙ্কট থেকে বেরোনোর পথও। তাঁর মতে, এখন কোনওদিকে না তাকিয়ে স্রেফ কাজের সময়। কারণ এই মুহূর্তে করোনা টিকা হাতে পেলেও লাভ হবে না। যদি দিনে ১০ লক্ষ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া যায়, তাহলে গোটা দেশে এই টিকা পৌঁছে দিতে লাগবে ১৪০ দিন। সংক্রমণ যখন লাফিয়ে বাড়ছে, তখন এত সময় ব্যয় করা কঠিন।
Comments are closed.