Lockdown: ঘরবন্দি দেশে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাড়িতে মহিলাদের মারধর, হেনস্থার অভিযোগ, চিন্তায় জাতীয় মহিলা কমিশন
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে লকডাউনে বন্দি দেশ। সে সময়েই বেড়ে চলেছে সাংসারিক কোন্দল। স্ত্রীদের উপর স্বামীদের মারধর করা গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW) লকডাউনের মধ্যে এমন ২৫০ টির বেশি অভিযোগ পেয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানান, এই বেশিরভাগ অভিযোগ তাঁরা ই-মেলের মাধ্যমে পেয়েছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে মহিলাদের উপর হিংসার অভিযোগে ১১৬ টি ই-মেল পেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। আর লকডাউন পিরিয়ডে ২৩ থেকে ৩১ মার্চ, ১০ দিনে ২৫৭ টি অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন বলে জানান রেখা শর্মা। ২৪ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল রেখা শর্মার কাছে বাড়িতে হিংসার সরাসরি ৬৯ টি অভিযোগ পৌঁছেছে।
NCW এর তরফে রেখা শর্মা জানান, প্রতিদিন একটা দুটো করে অভিযোগ আসে। নৈনিতাল থেকে এক মহিলা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, স্বামী রোজ অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর করেন। রেখা আরও জানান, এখন গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি আসছে। কিন্তু এই মুহূর্তে মহিলারা অভিযোগ জানাতেও ভয় পাচ্ছেন। কারণ, এখন সারাদিনই তাঁরা ঘরবন্দি। ফলে অত্যাচারের মাত্রা বাড়বে বলে আশঙ্কা। রেখার মতে, এই ঘটনা দিনের পর দিন আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে তাঁরা। বেশিরভাগ মহিলা পুলিশের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছে।
পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা বললেই শাশুড়ি-দেওর শাসাচ্ছে। আর এখন যদি কোনওভাবে স্বামীর হাজত বাস হয়, তাহলে জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীকে প্রাণেই মেরে ফেলবে। এমনই আশঙ্কা তাঁদের। এই অবস্থায় যে মহিলারা বাপের বাড়ি চলে যাবেন, তারও উপায় নেই। মহিলারা চাইছেন লকটাউনে তাঁদের জন্য সরকার যদি আলাদা করে কিছু ব্যবস্থা করেন।
কোনওভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউনে সারা দেশে এমনই অবস্থা যে আপাতত কেউই কিছু করতে পারছেন না।
গত মাসে জাতীয় মহিলা কমিশন সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। গার্হ্যস্থ হিংসা সহ মহিলাদের উপর অত্যাচার, মোট ৯০ টি অভিযোগ এসেছে সেখান থেকে। এরপর দিল্লি থেকে ৩৭ টি অভিযোগ, বিহার থেকে ১৮ টি, মধ্যপ্রদেশ থেকে ১১, মহারাষ্ট্র থেকে ১৮ টি কেস পেয়েছে NCW।
Comments are closed.