বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক নরেন্দ্র মোদীর
বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করোনা অতিমারির “দ্বিতীয় ঢেউ” শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজ্যে। প্রথমে মহারাষ্ট্র, এখন মধ্যপ্রদেশেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। নতুন সংক্রমণের খবর আসছে কেরালা, তামিলনাড়ুর থেকে। দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনই যদি আমরা এই অতিমারিকে বন্ধ করতে না পারি, তবে পুনরায় দেশব্যাপী অতিমারি দেখা দেবে। শীঘ্রই আমাদের এই করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে হবে। তার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে, প্রয়োজনে Micro Containment Zone তৈরি করতে হবে, করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি, এছাড়াও মাস্কের ব্যবহার পুনরায় বাড়াতে হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন করোনা টেস্ট কম হচ্ছে, পর্যাপ্ত টিকাকরণ হচ্ছে না সে দিকেও নজর দিতে হবে। RTPCR টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। গতবছর লকডাউনের কারণে পরিবহন পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল। তাই প্রত্যন্ত গ্রাম গুলি করোনা সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অন্যরকম হওয়ায় শহরতলি ও গ্রামগুলিতে করোনার পরীক্ষাও টিকাকরণের জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বৈঠকে তিনি জানান, করোনার সংক্রমণ আটকাতে বাইরে থেকে আসা বহিরাগতদের উপর অতিরিক্ত নজরদারি দিতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন অপচয়ের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। তাই ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণে এদিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অসমের বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ায় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। এদিন অনুপস্থিত ছিলেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও।
এই মুহূর্তে ভারতে ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছে ২৮ হাজার ৯০৩ জন। যার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্রে। মারা গেছেন ১৮৮ জন। মহারাষ্ট্রের পর রয়েছে কেরালা, এরপর পাঞ্জাব, কর্ণাটক এবং গুজরাট।
Comments are closed.