দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। তার মধ্যেই করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতের দিকে আঙুল তুললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। নেপালে করোনা সংক্রমণের জন্য ভারতের দিকে আঙুল তুলে সরাসরি ওলির দাবি, চিন, ইতালির চেয়েও ‘ভারতের ভাইরাস’ বেশি প্রাণঘাতী। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নেপালের সংসদে সুর চড়িয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের জন্য সরাসরি ভারতের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘যাঁরা অবৈধভাবে বিভিন্ন চ্যানেল ধরে ভারত থেকে নেপালে চলে আসছেন, তাঁরাই করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই ভারত থেকে বহু মানুষকে দেশে নিয়ে আসার অপরাধ করছেন। যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড়সড় বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
সম্প্রতি ভারতের পিম্পিয়াধুরা, লিপুলেক ও কালাপানি অঞ্চলকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে নেপাল প্রশাসন। নেপালের একটি নতুন ম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে ওই তিনটি অঞ্চলকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী জানান, আমরা এই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাই না, দেবও না। বরং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলি যাতে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার জন্য আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা করতে চাইব।
১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানিতে মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা। এখন ওই দু’টি এলাকাকে নিজের বলে দাবি করছে নেপাল।
পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথের সঙ্গে মানস সরোবরের যোগাযোগ গড়ে তুলতে গত ৮ মে একটি নতুন সড়ক পথের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু। ওই এলাকায় নেপালের একটি নিরাপত্তা চৌকিও রয়েছে। সে সময় দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওই সড়ক পথটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় এলাকায়। যদিও তা মানতে নারাজ নেপাল। সেই উত্তেজনা স্তিমিত হওয়ার আগেই করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতকে বেনজির আক্রমণ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর।
Comments are closed.