৫ বছরে ৩০-৩৫ টি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে, তৈরি মোদীর মাস্টার প্ল্যান, এই দফায় নিলামে ৬ টি বিমানবন্দর
দেশে মোট এয়ারপোর্টের সংখ্যা কমবেশি ১২০। তার মধ্যে ৩৪ টি এয়ারপোর্টে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করে। সরকারের হয়ে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এদের দেখাশোনা, পরিচালন করে। এবার বিমান ব্যবসা থেকে পুরোপুরি হাত ধুয়ে ফেলার পথে হাঁটা লাগালো মোদী সরকার। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির অপেক্ষায় বসে আছে। প্রথম দফায় দেশের ধারে ভারে এগিয়ে থাকা মেগা এয়ারপোর্টগুলো ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে চলে গিয়েছে। এবার কি বাকিরাও কি একই পথের পথিক হতে চললো?
মোদী সরকার এই দফায় আরও ৫-৬ টি বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে রাজ্যে এয়ারপোর্ট পরিচালনা করে আসা এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা AAI এর তালিকা তৈরি। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের দ্বিতীয় দফায় বারাণসী, ভূবনেশ্বর, অমৃতসর, ইন্দোর, রায়পুর, ত্রিচি এয়ারপোর্ট রয়েছে। প্রথম দফায় বরাতের দৌড়ে আদানি গোষ্ঠী বাজিমাত করেছিল। কিন্তু কেরলে সিপিএম সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধ শুরু হয়েছে। আদালতে মামলাও হয়েছে। যদিও তাতে মোদী সরকারের পরিকল্পনা থামছে না। বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, মোদীর আসল লক্ষ্য আগামী ৫ বছর ধরে ৩০-৩৫ টি বিমানবন্দর ধাপে ধাপে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। গত ১৯ অগাস্ট LiveMint এর এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও এই বক্তব্যের সমর্থন রয়েছে।
এয়ারপোর্ট বেসরকারিকরণ অবশ্য নতুন কিছু নয়। ডক্টর মনমোহন সিংহের আমলে দেশের বড় বড় বিমানবন্দরগুলো বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছিল। কলকাতা বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি তোলে তৎকালীন শাসক সিপিএম। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল কিংবা বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া ইন্টারন্যাশনাল বেসরকারি হাতে সেজে উঠলেও কলকাতায় সেই কাজ করে সরকার। তারপর রাজনৈতিক পালাবদলে নরেন্দ্র মোদীর হাতে ক্ষমতা। বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।
Comments are closed.