৬ বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত মোদী ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠীর হাতে

মোদী আমলে আদানির জয়যাত্রা। দেশের ৬ টি বিমানবন্দরের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের বরাত পেল মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। গতবছরই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দেশের বিমানবন্দরগুলিতে যৌথ উদ্যোগে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনের কাজ চালানো হবে। সেইমতো ডাকা টেন্ডারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিড করার দৌলতে এবার থেকে আমদাবাদ, তিরুঅনন্তপুরম, লখনউ, গুয়াহাটি, জয়পুর এবং ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব চলে গেল আদানি গোষ্ঠীর হাতে।

প্রতি মাসে এক জন যাত্রী পিছু কত টাকা খরচ করতে পারবে সংস্থাটি, সেই হিসেবেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। অন্যদের তুলনায় আদানি গোষ্ঠীর দেওয়া দরপত্র ছিল সবচেয়ে বেশি অঙ্কের এবং আকর্ষণীয়। সেই হিসেবেই টেন্ডার জিতে নেয় আদানি গোষ্ঠী বলে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সূত্রের খবর।

গত সপ্তাহে খোলা টেন্ডারে দেখা যায় মোট ৩২ টি বিড জমা পড়েছে। জিএমআর গ্রুপ, আদানি গ্রুপ, এএমপি ক্যাপিটাল ইনভেস্টার্স (ইংল্যান্ড), কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (সিআইএএল), এনআইআইএফ অটোস্ট্রেড (ইতালি), কেরালা স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন (কেএসআইডিসি), সান্না এন্টারপ্রাইজেস, আই ইনভেস্টমেন্টস এবং পিএনসি ইনফ্রাস্ট্রাকচার, এই সংস্থাগুলি কাজের ইচ্ছে প্রকাশ করে দরপত্র জমা দিয়েছিল।

দেশের বিমানবন্দরগুলিতে বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করতে সম্প্রতি পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রথমবার কোনও বিমানবন্দর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের ভার কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেখানে থাকবে না কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের গোটা প্রক্রিয়াটি দেখবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অ্যাপ্রাইজাল কমিটি (পিপিপিএসি)। নীতি আয়োগের সিইও এবং অর্থ ও বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিবরা থাকবেন এই কমিটিতে। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.