দেশে চালু হয়েছে সংশোধিত মোটর ভেহিকেলস আইন। কখনও ২৫ হাজারের স্কুটিতে ফাইন বসছে ৩৫ হাজার টাকা, আবার কখনও অটোওয়ালাকে চালান ধরানো হচ্ছে ৪০ হাজারের! সব মিলিয়ে সংশোধিত ট্র্যাফিক আইন এখন দেশের মুখ্য আলোচ্য। কিন্তু জানেন কি, ফাইন দিলেন আর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন, এমন দিনও শেষ হতে চলেছে? ট্র্যাফিক ফাইনের উপরই এবার থেকে নির্ভর করবে আপনার গাড়ির বিমার প্রিমিয়াম। যত বেশি ফাইন, তত বাড়বে প্রিমিয়ামের পরিমাণ। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে লাইভ মিন্টে।
সংশোধিত মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট লাগু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা আইআরডিএআই একটি ৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটি খতিয়ে দেখবে কীভাবে ট্র্যাফিক ফাইনের সঙ্গে বিমার কিস্তিকে যুক্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করায় পুলিশ চালান দিলে, সেই চালানে লেখা অর্থের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সূত্রের মাধ্যমে যুক্ত হবে আপনার গাড়ির বার্ষিক প্রিমিয়ামের সঙ্গে। ফলে বিমার কিস্তি বেড়ে যাবে বেশ অনেকটা।
সংশোধিত ট্র্যাফিক আইন লাগুর পর কেন্দ্র জোর দিয়েছিল, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে গাড়ির বিমার প্রিমিয়ামকে যুক্ত করার বিষয়ে। এরপরই তত্পর হয় আইআরডিএআই। গত ৬ ই সেপ্টেম্বর এবিষয়ে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। এর আগে পর্যন্ত গাড়ির বিমার কিস্তি নির্ভর করত কেবলমাত্র গাড়ি কেনার তারিখ, মডেলের উপর। কিন্তু এবার থেকে তার সঙ্গে যুক্ত হবে চালকের তথ্যও। পাশাপাশি নিয়ম মেনে গাড়ি বা বাইক চালানোর পুরস্কার হিসেবে কিস্তিতে ছাড়ও পেতে পারেন চালক। নতুন নিয়মে এমন সংস্থানও রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আইআরডিএআই কমিটিকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে রূপরেখা তৈরি করতে ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপর পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে এই পদ্ধতি প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে লাগু করা হবে দিল্লিতে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে এই ধরনের জরিমানার পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেক্ষেত্রে গাড়ির বিমার পরিমাণ দ্বিগুণ বা তিনগুণ অবধি হয়ে যাওয়ারও দৃষ্টান্ত রয়েছে বলে লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভারতে এই বিধি চালু করার আগে প্রয়োজন যথাযত তথ্যপুঞ্জি তৈরি করা। না হলে, এই পদ্ধতি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন দেশের বিমা বিশেষজ্ঞরা।
Comments are closed.