১ অগাস্টের মধ্যে পণ্যের গায়ে লিখতে হবে উৎপাদনকারী দেশের নাম, ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনকে নির্দেশ কেন্দ্রের, চিন বিবাদের জের?
পরিবর্তিত চিন সমীকরণে ভর করে লোকমুখে প্রচলিত বয়কট চায়না স্লোগানকেই আরও খানিকটা উসকে দিল কেন্দ্র। তবে সরাসরি নয়। এবার থেকে পণ্যের গায়ে উৎপাদনকারী দেশের নাম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সময়সীমা পয়লা অগাস্ট।
ইংরেজি দৈনিক ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে পয়লা অগাস্টের মধ্যে নতুন পণ্যের গায়ে লিখতে হবে তা কোন দেশে তৈরি ও ওয়েবসাইটে বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে। পুরনো প্রোডাক্টের গায়ে দেশের নাম লেখা রয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করার সময়সীমা ১ অক্টোবর। সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, সময়সীমার মেয়াদ বাড়বে না।
ভারত-চিন দ্বৈরথের মধ্যে চিনা পণ্যের আমদানি ও বিক্রিতে রেশ টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তার জের হিসেবে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশাবলী মেনে চলতে বলা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, গত বুধবার ই-কমার্স সংস্থাগুলির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর সংস্থাগুলি আরও সময় চেয়েছিল। জানিয়েছিল বিদেশি পণ্য আমদানিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পরিবর্তন আনছে, তা কার্যকর করতে সময় চাই। তার পরে এই সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় সরকার পক্ষ। তবে শীঘ্রই চূড়ান্ত ডেডলাইন দেওয়া হবে বলে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ইকনমিক টাইমস।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, নন-প্যাকেজড আইটেম বা প্যাকেটজাত নয় এমন পণ্য কোন দেশের তা দেখানোর দরকার পড়ে না। সেক্ষেত্রে কী করা হবে, তার জন্য উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে শিল্পের প্রচার ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (DPIIT)।
বুধবার বৈঠকে অংশ নেন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, জিও, শপার্স স্টপ, ক্রোমা, স্নাপডিল, লেন্সকার্ট, পেটিএম, গ্রোফার্স, টাটা ক্লিক, ফারম্যাসি, হোমশপ-18, স্যুইগি, জোম্যাটো এবং মেডিকাবাজার সহ প্রায় ৩০ টি ই-কমার্স সাইটের প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে ফ্লিপকার্ট পণ্য বিষয়ক এই পরিবর্তন আনতে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চায়। অ্যামাজন ২-৩ মাস সময় চেয়েছে বলে খবর।
গত মাসের শেষে এই সংক্রান্ত আগের বৈঠকে বেশিরভাগ ই-কমার্স সংস্থা জানিয়েছিল, সরকারের নয়া নির্দেশ মেনে নিতে তাদের অসুবিধে নেই। কিন্তু বুধবারের বৈঠকে তারা করোনা পরিস্থিতি কীভাবে এমএসএমই এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, তা তুলে ধরে সরকারের কাছে আরও সময় চায় বলে খবর। কয়েকজন প্রতিনিধি এও জানিয়ে দেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ই-কমার্স সংস্থাগুলি সংকটে পড়বে।
ইকনমিক টাইমস সূত্রে খবর, এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকার প্যাকেজড পণ্যের বিধিগুলি পর্যালোচনা করে দেখছে। যেগুলিতে পণ্য সম্পর্কিত তথ্যের মধ্যে থাকে উৎপাদনকারী দেশ, উৎপাদনের তারিখ, পরিমাণ, মেয়াদ পেরনোর তারিখ এবং প্রস্তুতকারকের বিবরণ ইত্যাদি।
Comments are closed.