অর্ণব গোস্বামীকে কি টার্গেট করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, আবার এফআইআর দায়ের হয়েছে অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশের নতুন এফআইআরে একা অর্ণব নয়, যুক্ত করা হয়েছে রিপাবলিক চ্যানেলের পুরো এডিটোরিয়াল টিমকে। অভিযোগ, অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি পুলিশ বাহিনীর মধ্যে শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশে ভিত্তিহীন খবর সম্প্রচার করেছে। অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে মুম্বই পুলিশের কমিশনারের উদ্দেশে।
টিআরপি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার সেই রাজ্যে দায়ের এই সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশও। তাদের নিশানায় রিপাবলিক নিউজ চ্যানেলের কর্ণধার তথা প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুম্বইয়ের এনএম যোশী থানায় অর্ণবের চ্যানেল রিপাবলিক টিভির ডেপুটি নিউজ এডিটর সাগরিকা মিত্র, অ্যাঙ্কর তথা সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট এডিটর শিবানী গুপ্তা, ডেপুটি এডিটর শাওন সেন, এক্সিকিউটিভ এডিটর নিরঞ্জন নারায়ণস্বামী সহ সমস্ত সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন শশীকান্ত পওয়ার নামে মুম্বই পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক আধিকারিক।
এফআইআরে বলা হয়েছে, বাহিনীর অভ্যন্তরে অসন্তোষ তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিবেদনটির সম্প্রচার আসলে মুম্বই পুলিশ বাহিনীর মর্যাদাহানির সুচিন্তিত প্রচেষ্টা।
রিপাবলিক টিভির অর্ণব গোস্বামী ইদানীং নিজেই খবরের শিরোনামে। নিউজ স্টুডিওয় তাঁর আগ্রাসন এখন গরম বিতর্কের ইন্ধনস্বরূপ। অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছে মুম্বই পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে। পাল্টা ২০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন অর্ণবও। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, অর্ণব গোস্বামীকে কি টার্গেট করা হচ্ছে? তিনি কি রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির নিশানা হয়ে গেলেন?
Comments are closed.