নয় সপ্তাহে রিলায়েন্স জিওতে ১১তম লগ্নি! এবার জিও প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের ঘোষণা করল সৌদি আরবের সংস্থা PIF (পিআইএফ)৷ মুকেশ আম্বানীর জিও প্ল্যাটফর্মের ২.৩২ শতাংশ শেয়ার কিনছে সংস্থা। বিনিয়োগের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা৷ সেই সঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে ঋণমুক্ত ঘোষণা করলেন মুকেশ আম্বানী।
অতিমারি করোনার দাপটে যখন প্রায় সব সংস্থার বিনিয়োগ ও ব্যবসায় ভাটা চলছে তখন, ব্যতিক্রম রিলায়েন্স জিও। মুকেশ আম্বানীর টেলিকম সংস্থা গত দু’মাসে মোট ১১টি বিদেশি লগ্নি টেনে নতুন রেকর্ড করছে। শুধু বিনিয়োগ নয়, রাইটস ইস্যুর মাধ্যমে সংস্থাকে ঋণমুক্তও করে ফেলেছে তারা। যা এই অতিমারি সময়ে ব্যবাসায়িক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
কিছুদিন আগেই জিও প্ল্যাটফর্মে সামিল হয়েছে মার্কিন মুলুকের অন্যতম বড় ইক্যুয়িটি ফার্ম টিপিজি ক্যাপিটাল ও এল ক্যাটারটন। এবার জিও-তে লগ্নির ঘোষণা করল সৌদি আরবের সংস্থা পিআইএফ।
জিও-তে যে সাম্প্রতিক সময়ে যে বিখ্যাত সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক (৪৩,৫৭৩.৬২ কোটি টাকা), সিলভার লেক পার্টনার্স (৫৬৫৫.৭৫ কোটি টাকা), ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার্স (১১,৩৬৭ কোটি টাকা), জেনারেল অ্যাটলান্টিক (৬৫৯৮.৩৮ কোটি টাকা), কেকেআর (১১,৩৬৭ কোটি টাকা), মুবাডালা (৯০৯৩ কোটি টাকা), সিলভার লেক (৪,৫৪৭ কোটি টাকা), আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি বা ADIA-এর (৫৬৮৩.৫০ কোটি টাকা), টিপিজি ক্যাপিটাল (৪৫৪৬.৮০ কোটি টাকা), এল ক্যাটারটন (১৮৯৪.৫০ কোটি টাকা) এবং পিআইএফ ১১,৩৬৭ কোটি টাকা।
এদিকে ৫৩ হাজার১২৪ কোটি টাকার রাইটস ইস্যু প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন সাফল্য পেয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL)। ৫৮ দিনের মধ্যে রিলায়েন্স রাইটস ইস্যু-র এবং মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮১৮ কোটি টাকায়! এই রাইটস ইস্যুর ফলে মুকেশ আম্বানীর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখন ঋণমুক্ত সংস্থা। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রিলায়েন্সের ঋণ ছিল ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। রাইটস ইস্যু এবং বিদেশি বিনিয়োগ টেনে নিজেদের নির্ধারিত সময়ের আগেই সংস্থাকে ঋণমুক্ত করলেন মুকেশ আম্বানী। এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের ৩১ মার্চ, কিন্তু তার আগেই সংস্থাকে ঋণমুক্ত করে শেয়ার হোল্ডারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলাম।
Comments are closed.