নিউ টাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে নয়া মোড়। পুলিশের জালে ধরা পড়ল সুমিত কুমার। হরিয়ানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই সুমিত কুমারের নাম নিয়েই নিউ টাউনের সুখবৃষ্টিতে ফ্ল্যাট ভাড়া পেয়েছিল দুই গ্যাংস্টার জয়পাল আর জসপ্রীত।
পুলিশ সূত্রের খবর, আসলে সুমিত কুমারের পাসপোর্ট আর আধার কার্ড করে ব্যবহার করে সেই ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিল ভরত কুমার।
ও ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার হয়েছে ভরত কুমার। ভরত ওই ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করে সুশান্ত দাস নামে একজনের সঙ্গে। এরপর সে সুশান্তের কাছে সুমিত কুমারের আধার কার্ড ও পাসপোর্ট জমা দেয় নিজের নামে। কিন্তু ছবি দিয়েছিল নিজেরই।
ভরতের দেওয়া সব নথি সুশান্ত জমা দেয় টেকনো সিটি থানায়। ভরত গ্রেফতার হওয়ার পর ভরতকে শনাক্ত করেছে সুশান্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ জুন নিউ টাউনের শ্যুটআউটের ঘটনার পরের দিনই হরিয়ানার একটি থানায় গিয়ে নিজের আধার কার্ড আর ভোটার কার্ড হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ দায়ের করে সুমিত কুমার। সে দাবি করে এপ্রিল মাসে তার গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গেছে। এর পরেই পুলিশের মনে সন্দেহ হয়, এপ্রিল মাসে নথি হারিয়ে গেলে তা জুন মাসে কেন থানায় জানাল সুমিত? এই প্ৰশ্ন মাথাচাড়া দিতেই হরিয়ানা পুলিশ যোগাযোগ করে পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে। শুরু হয় সুমিতকে জেরা পর্ব। আর জেরা করেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। সুমিত জানায় নিজের পাসপোর্ট, আধার কার্ড ভরতকে দিয়েছিল সে। ভরত আর সুমিত পূর্ব পরিচিত। আর সুমিতের নামে কোনও অভিযোগ নেই। তাই সুমিতের গুরুত্বপূর্ণ নথি ব্যবহার করেই ভরত ওই ফ্ল্যাট ভাড়া করে দুই গ্যাংস্টারকে থাকতে দেয়।
অন্যদিকে সিআইডি তদন্তে জানা গেছে ওই ফ্ল্যাটের ভিতরে আরও একজনের হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই তৃতীয় ব্যক্তি হয়ত ভরত। ভরতের হাতের ছাপের সঙ্গে তৃতীয় ব্যক্তির হাতের ছাপ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments are closed.