করোনা আবহে ইডেন গার্ডেন্স আগেই পরিণত হয়েছে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। ঠিক একইভাবে নিক্কো পার্কও (Nicco Park) বদলে গেল সেফ হাউসে।
নয়ের দশকে বিধাননগরে তৈরি এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি বাচ্চাদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে এই পার্কে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সব কিছুই বদলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে জারি হয় লকডাউন। তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় নিক্কো পার্ক। বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও করোনাকালে নিউ নর্মাল মেনে এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষ।
ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা যখন ফিরেছিলেন, তখনই রাজ্য সরকারের সুবিধার জন্য ৮ হাজার বর্গফুটের ‘রয়্যাল কোর্টইয়ার্ড হল’ ছেড়ে দিয়েছিল নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষ। তা পরিণত হয়েছিল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। এবার সেটিই বদলে গিয়েছে সেফ হাউসে।
কোভিড মোকাবিলায় নিক্কো পার্কের ‘রয়্যাল কোর্টইয়ার্ড হল’ প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জন্মদিন বা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হত এই হল। সেটিকে বর্তমানে সেফ হাউসে পরিণত করেছে বিধাননগর পুরনিগম।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৬০টি শয্যা নিয়ে সেফ হাউস পরিষেবা শুরু করেছে পুরনিগম। এখন সেখানে ১০ জনের বেশি রয়েছেন। বিধানগর এলাকায় যে পরিবারগুলি ছোট ঘরে বসবাস করে, করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে যাঁদের পক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সমস্যার, তাঁদের নিক্কো পার্কের এই সেফ হাউসে রাখা হচ্ছে। এছাড়া বিকাশ ভবনের উলটোদিকে একটি কোভিড টেস্টিং সেন্টার তৈরি করেছে বিধাননগর পুরনিগম। যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই ওই সেফ হাউসে থাকা মানুষদের চেক আপ করা হচ্ছে। বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর সপ্তাহ দুয়েক থেকে সুস্থ হলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরনিগমের মেয়র পারিষদ প্রণয়কুমার রায় জানিয়েছেন, সেফ হাউসে থাকা প্রত্যেকের খরচ বহন করবে পুরনিগমই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।
Comments are closed.