৪৫ কিমি পথ পেরোতে সময় নেয় ৫ ঘন্টা। এটি দেশের মন্থরতম ট্রেন। তা সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে বিশেষ করে পর্যটকদের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয়। এর জন্য অবশ্য ‘দায়ী’ ট্রেনের যাত্রাপথ। পাহাড়, চা বাগান, গভীর অরণ্যর মধ্য দিয়ে যায় ট্রেনটি। নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে সারাবছরই ছুটে যান অসংখ্য পর্যটক। সম্প্রতি ইউনেস্কোর হেরিটজ তকমাও মিলেছে। দেশের মন্থরতম ট্রেনে চাপবেন নাকি?
বিখ্যাত এই ট্রেনে চড়তে গেলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে তামিলনাড়ু। ট্রয় ট্রেনের মতো দেখতে ট্রানটি চলে তামিনাড়ুর মেট্টুপালায়ম থেকে উটি পর্যন্ত। নাম, নীলগিরি প্যাসেঞ্জার। পাহাড়, জঙ্গল, গভীর অরণ্যের ভেতর দিয়ে ট্রেনটি যায়। শুধু চারপাশের দৃশ্য দেখতেই নীলগিরি প্যাসেঞ্জারের সওয়ারী হন পর্যটকরা। ৪৬ কিমি পথ যেতে ট্রেনটিকে ১০০ টি সুড়ঙ্গ পেরোতে হয়। যাত্রাপথটি অত্যন্ত দূর্গম হওয়ার কারণেই ধীর গতিতে যায় ট্রেনটি।
১৮৯১ সালে ব্রিটিশ আমলে দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ট্রেন লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৯০৮ সালে। ট্রেনটি প্রতিদিনই মেট্টুপালায়ম থেকে উটি পর্যন্ত যায়। মেট্টুপালায়ম থেকে ছেড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। উটি পৌঁছায় ১২টায়। আবার উটি থেকে দুপুর ২টোয় ছেড়ে মেট্টুপালায়ম পৌঁছায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
Comments are closed.