কালো বলে কোনো অভিনেত্রী কাজ করতে চাইতেন না মিঠুনের সাথে! নিজের পুরোনো স্মৃতি আজও কাঁদিয়ে দেয় সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী কে
আজ তিনি বলিউডের বিখ্যাত ডিস্কো ডান্সার কিন্তু জীবনে এমনও এক দিন এসেছিল যেখানে তার সাথে কোনো অভিনেত্রী কাজ করতে চাইতেন না। প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’তে অভিনয় করেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সাতের দশকে ধীরে ধীরে ‘তারকা’র তকমা পেতে শুরু করেন। তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু শুরুর দিকটা এত সহজ ছিল না তার। করতে হয়েছিল অনেক সমস্যার সম্মুখীন।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কেরিয়ার শুরুর দিকে কেউই তেমন সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। বরং তার কাজ কিভাবে বন্ধ করা যায় এই ভাবনা নিয়েই বসে থাকতেন মানুষজন। মিঠুন জানিয়েছিলেন, “আমি কারও নাম নিতে চাই না। এটা তখনকার কথা যখন বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তখন কানে আসত অনেক নায়িকাই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না।
কারণ অন্যান্য নায়করা চাইত না সেইসব নায়িকারা আমার সঙ্গে কাজ করুক।” আমি কিন্তু কোনোদিনও হাল ছাড়িনি। সবসময় নিজেকে এটাই বলেছি যদি আমার মধ্যে প্রতিভা থাকে তাহলে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। মিঠুন চক্রবর্তী আরো বলেন, “আমার জীবনে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। তার মধ্যে একজন হলেন জিনাত আমান। আমার জীবনের কঠিন সময়ে তিনি যেন দেবদূতের মতো এসে পাশে দাঁড়ান।”
আটের দশকে তাদের দুজনকে বহু ছবিতে একসাথে কাজ করতে দেখা যায়। তকদির’, ‘হাম সে হ্যায় জামানা’, ‘ইয়াদো কি কসম’-র মতো হিট ছবিতে দুজন একসাথে কাজ করেছেন। অভিনেতা আরো বলেন, “জিনতজিকে অনেক ধন্যবাদ এই বাধা টপকে আমার সঙ্গে কাজ করার মতো ঝুঁকি নেওয়ার জন্য।”
অভিনয়ের জগতের পাশাপাশি এখন রাজনীতির ময়দানেও নেমে পড়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এখন বিনোদনের জগতেও আবার পা বাড়াতে শুরু করেছেন অভিনেতা। কিছুদিনের মধ্যেই বিবেক অগ্নিহোত্রি-র পরিচালনায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে তাঁর অভিনয় করার কথা রয়েছে। যেখানে একজন কাশ্মীরী পণ্ডিতের চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে।
Comments are closed.