সময় সবার বদলায়! স্ত্রীয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের সহকর্মী সুপারস্টার মিঠুন এর কাছে হাত পাততে হল ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ এর পরিচালক কে

বলিউডের অন্যতম একজন পরিচালক হলেন বাব্বার সুভাষ। একসময় তার পরিচালিত মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ইন্ডাস্ট্রির ব্লকবাস্টার হিট ছিল। আজও বহু মানুষের প্রিয় ছবির তালিকার মধ্যে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ একটি। সম্প্রতি এই ছবির পরিচালক নিজের স্ত্রীয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের সমস্ত সহকর্মীদের কাছে টাকার জন্য হাত পাতেছেন।

বাব্বার সুভাষের স্ত্রী তিলোত্তমা শারীরিক দিক দিয়ে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বড় অঙ্কের টাকা। সম্প্রতি হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য তার অনেক টাকার প্রয়োজন। পাঁচ বছর আগেই ৬৭ বছর বয়সী তিলোত্তমা দেবীর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই সময় তার কিডনি প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে ঐ মুহূর্তে তিলোত্তমা দেবীর ফুসফুসের সমস্যা ধরা পড়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন চিকিৎসকরা। সেই সময়ে তাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছিলেন বলিউডের ভাইজান।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণে কোকিলাব্যাহেন ধীরুভাই আম্বানি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল বি সুভাষের স্ত্রী তিলোত্তমা দেবীকে। তার শারীরিক অবস্থার ভীষণভাবে অবনতি ঘটেছিল সেই সময়ে। খুব সম্প্রতি তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। হসপিটালের বিল হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। এই টাকা তার পক্ষে একসাথে মেটানো সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন পরিচালক।

সম্প্রতি এই কারণবশতই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের সহকর্মীদের কাছে হাত পাততে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবির অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী পরিচালককে ইতিমধ্যেই আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির আরও বেশকিছু সহকর্মীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। জানা গেছে, পরিচালকের এই দুর্দিনে তাকে তার সহকর্মীদের বেশিরভাগই ফিরিয়ে দেননি। সকলেই নিজেদের মতো করে সাহায্য করেছেন তাকে।

তিনি এও জানান তার মেয়ে শ্বেতা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জুহি চাওলা, অনিল কাপুর, ডিম্পল কাপাডিয়া, ভুষণ কুমার, রতন জৈনের মত ব্যক্তিত্বদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। সকলে তাদের হতাশ করছেন না অনেকেই সেই ফান্ডে টাকা দিচ্ছেন।

এই প্রসঙ্গে পরিচালক বি সুভাষ জানান এই দুর্দিনে তাকে যারা আর্থিকভাবে সাহায্য করছেন, সারাজীবন তিনি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবেন। বর্তমানে তিনি তার দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিজের মাকে বাঁচানোর জন্য এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

Comments are closed.