জামিন শ্রমজীবী আন্দোলন কর্মী নদীপের, পুলিশের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
নদীপকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে জানিয়েছে, তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে।
কৃষক এবং শ্রমিকদের দাবি বহাল থাকবে এমনটাই চেয়েছিলেন নদীপ কৌর। কিন্তু, কুণ্ডলি সীমান্তে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় দলিত শ্রমিক-কর্মী নদীপ কৌরকে। গ্রেফতারের পরে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করা হয় নদীপ কৌরকে। হত্যা থেকে শুরু করে চুরি, দাঙ্গা, বেআইনী সমাবেশ, অপরাধমূলক হুমকির মতো বিষয়গুলো সেখানে বাদ যায়নি। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে প্রায় দেড়মাস ধরে তাঁকে হরিয়ানার কর্নাল জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। নদীপ কৌর জানিয়েছিলেন পুলিশি হেফাজতে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে, যদিও কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। শুক্রবার হত্যা মামলায় আরোপিত নদীপকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে জানিয়েছে, তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুনঃ মমতা: কাকে সুবিধা দিতে ৮ দফায় ভোট? খেলা হবে, হারিয়ে ভূত করে দেব
কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি রেখে উচ্চ মজুরির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল নদীপ কৌরকে। বর্তমানে দিল্লি ও হরিয়ানার কুন্ডলি সীমান্তে এমন অনেকেই রয়েছে যাঁরা বিগত কয়েক মাস ধরে নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে শিবির স্থাপন করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মীনা হ্যারিস টুইট করে বলেছিলেন, “২৩ বছর বয়সী শ্রমকর্মী নদীপ কৌরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রেখে যৌন নির্যাতন করা হয়ে।”
অন্যদিকে, নদীপের বোন সমাজকর্মী রাজবী কৌর অভিযোগ করেছিলেন যে নদীপ কৌরকে পুরুষ স্টাফরা থানার মধ্যে মারধর করে এবং তাঁর উপর যৌন নির্যাতনও করা হয়ে। তাঁর ব্যক্তিগত অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। নদীপের প্রতি এমন নির্যাতনের কথা জনসমক্ষে এনে সুবিচার এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
Comments are closed.