এনএসও সমীক্ষা রিপোর্ট খারিজ করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে মোদী সরকার

২০১৭-১৮ সালে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও) এক সমীক্ষায় বলেছিল, নোটবন্দির পর থেকেই গ্রামের রোজগার কমে গিয়েছে, বেড়েছে বেকারি। ওই সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছিল, নোট বাতিলের পর গত ৪৫ বছরে দেশে বেকারির হার সর্বোচ্চ হয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে সেই সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়নি। পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানিয়েছিল, সমীক্ষার রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়। ভোটের পর সরকার তা প্রকাশ করলেও সমীক্ষার রিপোর্ট ঠিক নয় বলে দাবি করে। ভোটের আগে ওই রিপোর্টটিও সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি এনএসও-র একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের আমজনতা সংসার খরচ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। নুন-চিনি-চাল-ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, বাড়িভাড়া, এমনকী ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচেও সাধারণ মানুষ লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছে।
এনএসও-র এই রিপোর্টও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ করেনি। তা ফাঁস হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই সমীক্ষার রিপোর্টই খারিজ করে দিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, সমীক্ষার রিপোর্টে অনেক খামতি আছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছ,আগামী দু’বছরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো ঠিক হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এটা সত্যি হলে ২০২২ সালের আগে দেশের গরিবি নিয়ে কোনও তথ্য-পরিসংখ্যানই পাওয়া যাবে না। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই রিপোর্ট খারিজ করায় কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মোদীনমিক্সে এত দুর্গন্ধ বেরচ্ছে যে সরকারকে নিজের রিপোর্টই লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, সরকারের এমনই হাল যে, নিজেদের রিপোর্ট নিজেরাই প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে।

Comments are closed.