টলি পাড়ায় হট টপিক এখন নুসরত জাহান। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাঁটাছেড়া করে চলেছেন সকলে। নুসরতের সন্তান-সম্ভবার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুধু নেটাগরিকরা নয়, তারকা মহলেও বেশ তরজা শুরু হয়েছে।
নুসরত ও নিখিল গতবছর থেকেই আলাদা রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী? তা নিয়ে তোলপাড় হয় নেট দুনিয়া। নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশে আসার আগেও যশ-নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ চর্চা চলেছে। এই জল্পনার মধ্যেই নুসরতের ঘরে নতুন খবর।
একের পর এক ব্যক্তিগত জীবনের রহস্য উদ্ঘাটন। নুসরতকে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় ট্রোল। তাঁকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরে বহু মিম।
মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ক্যাম ব্যাক আর নুসরতের ‘সহবাস’ উক্তিকে মিলিয়ে একটি মিম নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যেখানে লেখা, ‘বিজেপিতে আমি এতদিন যোগদান করিনি। বিজেপির সাথে লিভ-ইন এ ছিলাম। তাই বিজেপি ছাড়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না। ইতি মুকুল রায়’।
পর এই মিম নিয়ে বিতর্কের মুখ পড়তে হয় শ্রীলেখাকে। তিনি জানিয়েছিলেন, আমি মনে করি, একজন জনপ্রতিনিধি যদি অসততার আশ্রয় নেন, তা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গেই আমার পোস্ট। নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি ভাবিত নই। কিন্তু তিনি তো শুধু একজন অভিনেত্রী নন, একজন সাংসদও বটে।
শ্রলেখার মন্তব্যকে বিরোধীতা জানিয়ে নুসরতের পাশে দাঁড়ালেন ‘দেশের মাটি’ র ডোডো ওরফে তথাগত মুখোপাধ্যায়। তথাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে লেখেন, নুসরত ভালো খারাপ যে রকমই মানুষ হোন না কেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করার অধিকার কারও নেই।
এরপর এক সাক্ষাৎকারে তথাগত জানান, নিজের ইন্ডাস্ট্রির জুনিয়র অভিনেত্রী প্রসঙ্গে এরকম বিরুপ মন্তব্য শ্রীলেখা না করলেই পারতেন। তিনি আরও জানান, এই ইন্ডাস্ট্রিতে নুসরত শ্রীলেখাদির উত্তরসুরী। কীভাবে আর কেন একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বললেন ভেবে পেলাম না। শ্রীলেখাদির মতো উদার মনের মানুষের থেকে এটা আশা করিনি আমি।
নুসরত-নিখিলের মধ্যে জবাব পাল্টা জবাবের মধ্যেই গত বুধবার নুসরত তাঁদের বিয়ের সম্পর্ক নিয়ে একটি বিবৃতি শেয়ার করেন। যাতে তিনি দাবি করেন, তাঁর ও নিখিল জৈলের বিয়ে আইনত বৈধতা নেই। তাই এতদিন তাঁরা সহবাস করেছেন। যেখানে বিয়েই হয়নি সেখানে ডিভোর্স নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নুসরত-নিখিলের লিভ-ইন রিলেশনশিপকে নিয়ে ট্রোল করলেন শ্রীলেখা।
Comments are closed.