২০২১ এ তৃণমূলের দখলেই থাকছে নবান্ন। ইন্ডিয়া টুডের রাহুল কানওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের আগের অবস্থানেই অটল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বললেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি আগের চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে পিকের ঘোষণা, বাংলায় বিজেপি ১০০ পেরলে ভোট কুশলীর কাজ ছেড়ে দেবেন তিনি।
সদ্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশান্তকে বলা হয়, তাঁর কথার সঙ্গে ভোটের ফলাফল না মিললে তাঁর কোম্পানি বন্ধ হতে পারে, প্রশান্তের দাবি তিনি আইপ্যাকের মালিক নন। ইলেকশান স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণের পাশাপাশি আইপ্যাকের প্রধান কাজ হল দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি সচেতন করে তোলা। তিনি বলেন, আইপ্যাকের উদ্দেশ্য ব্যবসায়িক নয়। রহস্য বাড়িয়ে প্রশান্তের মন্তব্য, রাজ্যসভার টিকিট বা অন্য কোনও স্বার্থে তিনি এই কাজ করছেন না। তাঁর লক্ষ্য আরও বড় কিছু। যদিও কী সেই লক্ষ্য তা খোলসা করেননি বহু ভোটযুদ্ধের রণনীতি নির্ধারণ করা পিকে।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট করে দাবি করেছিলেন, সমর্থক মিডিয়া যতই ঢাক পেটাক না কেন, বাস্তবে বাংলায় বিজেপির ২ অঙ্ক পেরোতে হিমশিম খেতে হবে। পিকের এই ট্যুইট নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
For all the hype AMPLIFIED by a section of supportive media, in reality BJP will struggle to CROSS DOUBLE DIGITS in #WestBengal
PS: Please save this tweet and if BJP does any better I must quit this space!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 21, 2020
তার কিছুদিন পরই টাইমস নাও’য়ের নভিকা কুমার সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর ট্যুইটের কথা মনে আছে তো? পিকের জবাব ছিল, তিনি কথা দিয়ে কথা না রাখার মতো মানুষ না। বিজেপি সত্যিই বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারবে না। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই নিজের চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে ফের ট্যুইট করেন।
ইন্ডিয়া টুডে খবরের চ্যানেলেও কার্যত একই দাবি করলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু অমিত শাহ যখন একা ২০০ আসন জয়ের দাবি করছেন তখন পিকের এই দাবির ভিত্তি কী? আত্মবিশ্বাসী আইপ্যাকের কর্ণধারের স্পষ্ট জবাব, মমতা ব্যানার্জি যদি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারেন তাহলে তিনি ভোট পরামর্শদাতার কাজ থেকে অব্যাহতি নেবেন। বাংলায় বিজেপির স্থান হবে না।
Comments are closed.