দুর্গাপুজোর একমাস আগে থেকেই শহরে পুজোর আমেজ। ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জোঁড়াসাকো থেকে রেড রোড পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই উপলক্ষ্যে এদিন শুরু হয় মিছিল। মিছিলের শুরুতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাস্তার দুপাশে উৎসাহী মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টলিউডের শিল্পীরা। ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন বহু বিশিষ্টজনেরা। দুর্গাপুজোর চেনা ছবি একমাস আগে থেকেই শহরকে উৎসবমুখর করে তুলেছে।
এদিন মিছিল শুরুর আগে বৃষ্টি শুরু হয়। মিছিল শুরুর সময় ছিল দুপুর ২ টো। কিন্তু একটু আগেই শুরু হয় মিছিল। মিছিল শেষে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। বর্ণাঢ্য মিছিলে মাঝেমধ্যেই থেমে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রেড রোড পর্যন্ত চারিদিকে ছিল পুজোর রঙ। বিশ্ব সেরা হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পর আনন্দ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলো। পুজো কমিটিগুলিও তাঁদের ব্যানারের সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব থিম, সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলেছিলেন পোশাকের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের হাতে ছিল রঙিন ছাতা, ফেস্টুন।
মা দুর্গার একটি প্রতিমূর্তি ছিল মিছিলে। সেখানে মা দুর্গার মাথায় ছিল মুকুট। কিন্তু মায়ের চোখ আকাঁ ছিল না। কারণ পুজোর এখনও ১ মাস বাকি। তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়ে কেউ শঙ্খ বাজাচ্ছিলেন আবার কেউ ধুনুচি হাতে নাচছিলেন। কেউ সেজেছিলেন মা দুর্গা। কেউ আবার শিব। রাস্তার ধারে ছোট ছোট মঞ্চ তৈরি করে পুজোর গান বাজানো হচ্ছিল। মাঝপথে রঙিন পাখা হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সকলকে অভিনন্দন জানাতেও দেখা গিয়েছিল।
সব মিলিয়ে এদিন উৎসব মুখর ছিল শহর কলকাতা। পুজো কমিটি, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতারা ছাড়াও রাজপথে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানের প্রতিনিধিদের।
এদিন মিছিল উপলক্ষ্যে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ ছিল। দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। রেড রোড ২৪ ঘণ্টাই বন্ধ থাকবে।
Comments are closed.