ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ শুরু হতেই নানা অশান্তির খবর আসছে। বিরোধী প্রার্থীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠছে। ছাপ্পা ভোটের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। এবার খোদ বিরোধী প্রার্থীরা ভোট দিতে গিয়ে শুনলেন তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে।আগরতলার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী অঞ্জন সাহা। তিনি ভোট দিতে গিয়ে শোনেন তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস প্রার্থী অঞ্জন সাহা বলেন, পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিজেপির কিছু কর্মী জানায়, আমাদের ভোট হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে সোনামুড়ায় পঞ্চায়েত ভোটে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী নাজিমা খাতুনের ছেলেকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী লিপিকা দাস। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির ভোট লুটে বাধা দিতে গেলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাসকে মারধর করা হয়। মারধর করে তাঁর চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি নিজের ভোটও তাঁকে দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সকাল থেকে একাধিক তৃণমূল প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগরতলার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। আগরতলার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর ছেলে ও মেয়ের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ভোটের দিনেই তৃণমূলের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
Comments are closed.