প্যাস্টেল শেডের শাড়ি, কপালে ছোট্ট টিপ স্নিগ্ধ রূপে নুসরাত জাহান! অভিনেত্রীর পার্লামেন্ট লুকেও মুগ্ধ ভক্তরা, তুমুল ভাইরাল ছবি
এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন নুসরাত জাহান। লোকসভার অধিবেশনে যোগদানের জন্যই গিয়েছেন তিনি। শত ব্যস্ততার মাঝেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকতে ভোলেননি অভিনেত্রী। প্যাস্টেল রঙের শাড়িতে, খোলা চুলে কপালের টিপ পড়ে, হাতে কফি কাপ নিয়ে একেবারে স্নিগ্ধ রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিই শেয়ার করলেন তিনি, প্রশংসায় ভরিয়েছেন অনুরাগীরা।
ব্যস্ততার মাঝেও এই ছবিগুলো শেয়ার করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে বুদ্ধদেবের একটি উক্তি লিখেছেন। “তুমি যা ভাবো তাই তৈরি হও, তুমি যা অনুভব করো সেটাকেই আকর্ষণ করো, তুমি যা কল্পনা করো সেটাই সৃষ্টি করো।” বুদ্ধদেবের এই উক্তিটি নিজের ছবিতে ব্যবহার করেছেন অভিনেত্রী। তবে অভিনেত্রী এমন উক্তি কেন ব্যবহার করেছেন তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।
সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরাত জাহান শুক্রবার ৩’রা ডিসেম্বর যোগদান করেছিলেন লোকসভার অধিবেশনে। এদিন অধিবেশনে সাংসদ-অভিনেত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে। শুক্রবার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও এই বিষয়ে বক্তব্য রাখা উচিৎ।
লোকসভায় নুসরাত জাহান সকলের সামনে নিজের বক্তব্যে জানান, সবাই জানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প গড়ে তোলা হয়েছিল আর্থিক উন্নতির জন্য একটি বিপ্লবের শৃঙ্খলকে পরিচালনা করার লক্ষ্যে। এই পরিকল্পনার শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই প্রধান শিল্পগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পকে কাজে লাগিয়েছিল সরকার। তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করাও হয়েছিল বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পে যে বেতন দেওয়া হত, তা বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য আদর্শ ছিল। কিন্তু তার মতে, এখন সরকার মহারত্ন, নবরত্নের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির শেয়ার বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করতে চাইছে।
তিনি আরো জানান, কোল ইন্ডিয়া, আইওসি, এইচপিসিএল, সেইল, গেইল, ভেল, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, লাভজনক সংস্থাগুলিকে কেন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে? সরকার যদি বিলগ্নীকরণের পথেই হাঁটতে চায়, তাহলে অলাভজনক সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিতে পারে। সরকার এরকমভাবে বিলগ্নীকরণের পথে হাঁটায় কর্মীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, মত সাংসদের। সরকার পরিচালিত শিল্পগুলিকে নিয়ে সারা দেশ গর্বিত। সরকারের কাছে তিনি বিনীত অনুরোধ রেখেছেন, যাতে অন্তত পিপিপি মডেলে অলাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলিকে বিক্রি করা হয়। তিনি জানান, তিনি এবং তার দল লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণের বিরোধী। শেষে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরাত জাহান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অনুরোধ, তিনি যেন সংসদে এসে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিষয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানান।
View this post on Instagram
Comments are closed.