ছাপ্পা থেকে বুথ জ্যাম, ভাঙচুর-মারামারি, বিক্ষিপ্ত গোলমালের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে শেষ চতুর্থ দফার ভোট

ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ থেকে প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর। চতুর্থ দফার ভোট মিটল বিক্ষিপ্ত গোলমালের মধ্যে দিয়েই। সোমবার সকাল থেকেই বহরমপুর ও আসানসোলে উত্তেজনা তৈরি হয়। গোলমালের খবর আসতে থাকে বোলপুর ও বীরভূম কেন্দ্র থেকেও। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা চলতে থাকে দিনভর। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, চতুর্থ দফায় ইভিএম নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ উঠে আসেনি, শাসক-বিরোধী, কোনও পক্ষের বক্তব্যেই।

এদিন সকালেই বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপর একাধিক বুথে নিজে গিয়ে কংগ্রেসের এজেন্টদের বসিয়ে দেন অধীর। পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন ছাপ্পা ভোটেরও। অন্যদিকে এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ পেয়ে সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির এক এজেন্টকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেই হুমকি দেওয়ার দাবি করেছে তৃণমূল। বাবুলকে ঘিরে ধরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বীরভূমেও এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল পরিবেশ। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে তৃণমূল-বিজেপি, উভয়পক্ষই। দুবরাজপুরে গোলমাল থামাতে গিয়ে বুথে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছিলেন। নানুরেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। এদিকে কমিশনের নজরবন্দি অনুব্রতর সঙ্গে এদিন দেখা করেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। অনুব্রতর টিপ্পনি, অনুপম তৃণমূলে ফিরতে চাইলে তিনি সাহায্য করতে পারেন।

কমিশনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ভোট শান্তিপূর্ণ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে ৭৬.৫৫ শতাংশ, রানাঘাটে ৭৮.৩৩ শতাংশ, বহরমপুরে ৭৬.১৬ শতাংশ, আসানসোলে ৭৩.৬৪ শতাংশ, বীরভূমে ৭৬.৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

Comments are closed.