করোনাকালে সবচেয়ে আলোচিত কথা, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বদলে এখন থেকে ব্যবহার হবে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং কথাটি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের অভিধানিক অর্থ সামাজিক দূরত্ব, যা কখনওই কাম্য নয়। তাই এখন থেকে শারীরিক দূরত্ব কথাটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হবে। সেই অনুযায়ী সমস্ত কেন্দ্রীয় দস্তাবেজে এখন থেকে Social Distancing এর পরিবর্তে Physical Distancing কথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তৃণমূল প্রথম দাবি তুলেছিল। দলনেত্রী শুরু থেকে শারীরিক দূরত্ব কথাটি ব্যবহার করছিলেন। মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, সামাজিক দূরত্ব নয় আমাদের শারীরিক দূরত্ব পালন করতে হবে। কাউকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া এর উদ্দেশ্য হতে পারে না। সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেন অধিবেশনে তা নথিভুক্ত করিয়েছিলেন। এবার থেকে সরকারি কাজেও তা ব্যবহার হবে বলে মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে শান্তনু সেনকে।
সামাজিক দূরত্ব কথাটি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক। করোনা রোগীদের কিংবা কোভিড ওয়ারিয়রদের এলাকায় সামাজিক বয়কটের মতো বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সমাজের একটা অংশ সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংকে আভিধানিক অর্থে ধরে নিয়েছেন? সোশ্যাল বদলে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং ব্যবহার করার দাবি জোর পায় সারা দেশেই। সংসদে এ নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
তাঁর কথায়, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সামাজিক যোগাযোগ আরও নিবিড় করাই তো আমাদের দায়িত্ব। তাই শুরু থেকেই আমাদের দল বলে আসছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকুক, মানসিক দূরত্বের সমাজে স্থান নেই। তাঁর সেই দাবি মেনে নিল ভারত সরকার।
Comments are closed.