সাহেব এটা জানেন, ভারতের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ২০২৪ সালে, কোনও রাজ্যের ভোটে নয়; মোদীর দাবি উড়িয়ে কটাক্ষ পিকের
বৃহস্পতিবার চার রাজ্যের ফল ঘোষণার পর দিল্লির ১১ নম্বর অশোকা রোডে দলের সদর দপ্তরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৪ সালে কী ফল হতে চলেছে তা ২০২২ সালেই দেখা যাচ্ছে। আর শুক্রবার মোদীর দাবিকে উড়িয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করে ট্যুইট করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। মোদীকে সাহেব সম্ব্ধন করে তাঁর খোঁচা, ভারতের ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই হবে ২০২৪, কোনও রাজ্যের ভোট তা ঠিক করে দেবে না।
এদিন ট্যুইটে পিকে আরও লিখেছেন, সাহেব এই সত্যিটা বিলক্ষণ জানেন। তা সত্বেও উনি এই চালাকিটা করছেন শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করে কিছুটা এগিয়ে থাকতে। সেই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এই ধরনের অসত্য তথ্যে প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই।
Battle for India will be fought and decided in 2024 & not in any state #elections
Saheb knows this! Hence this clever attempt to create frenzy around state results to establish a decisive psychological advantage over opposition.
Don’t fall or be part of this false narrative.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 11, 2022
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সারা দেশ জুড়েই একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মসনদে যে দল থাকে দিল্লি তাদেরই হয়। মোদী বৃহস্পতিবার সেই তত্বটিকেই আরেকবার সামনে এনে ২৪ লড়াই নিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছেন। যদিও পিকে তাঁর এই দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট চলাকালীনও একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে ট্যুইটে সরব হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা একাধিকবার প্রচারে দাবি করেছিলেন, বিজেপি ২০০-এরও বেশি আসন পেয়ে নবান্নের দখল নেবে। পাল্টা প্রশান্ত কিশোরের দাবি ছিল, বিজেপি ‘ডবল ডিজিট’ অর্থাৎ একশো আসনেরও গন্ডি পার করবে না। আর ব্যালট খুললে দেখা যায় পিকের ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছে। যার জেরে পিকের বর্তমান ট্যুইট নিয়েও নানান জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
Comments are closed.