দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড বা DHFL কে দেওয়া ৩৬৮৮.৫৮ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা শূন্য বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জানাল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বা PNB। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধ হওয়ার পর পিএনবি আরবিআইকে জানায়, ৩৬৮৮ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল তা যেন নন পারফর্মিং অ্যাসেট খাতে ঢোকানো হয়। গত ৩ বছরে দেশের তৃতীয় সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক পিএনবিতে হওয়া এটি চতুর্থ জালিয়াতি। ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত DHFL এর দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
এমন হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ১২৪৬.৫৮ কোটি টাকার সংস্থান করে রেখেছে। তাহলে বাকি টাকা কি আর ফিরবে না? বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা অবশ্য সেদিকেই ইঙ্গিত করে। ২০১৮ সালে এই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কেই ১১,৩০০ কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়ে। সেবার শিরোনামে এসেছিলেন নীরব মোদী। তারপর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই টাকা এখনও ফেরেনি।
তবে শুধু পিএনবি নয়, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্কেও একইভাবে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে নীরব মোদীর নামে।
জুন মাসে জানা গিয়েছিল, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিক বা কোয়ার্টারে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে এনপিএর পরিমাণ ৭৩,৫০০ কোটি টাকা। সমস্ত ঋণের মধ্যে পিএনবিতে এনপিএ ১৪.২১ শতাংশ। যেখানে অন্যান্য ত্রৈমাসিকে তা থাকে গড়ে ১৫.৫ শতাংশ। ফলে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ঘটনা পরিস্থিতিতে আরও ঘোরাল করে তুলেছে। আগামী ৪ অগাস্ট ব্যাঙ্কের বার্ষিক সভা। DHFL ইস্যু নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed.