নিজের পুরনো স্কুলে গিয়ে প্রাক্তন ইংরেজি শিক্ষিকার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং, নিজের এই সাধারণ আচরণের জন্যই আবারও নেটিজেনদের প্রশংসা কোড়ালেন গায়ক
সঙ্গীত জগতে যার অবদান অনেকখানি। যিনি নতুন বর্তমান প্রজন্মের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার অংশীদার। বর্তমানে তিনি সঙ্গীত জগতের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে ও নিজের জন্মভূমি কে ভোলেননি। তিনি মাটির টানে আজও বারবার ফিরে আসেন নিজের গ্রামে। একেবারেই মাটির মানুষ তিনি। আশা করি বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলা হচ্ছে এখানে হ্যাঁ বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী অরিজিৎ সিং এর কথাই বলা হচ্ছে এখানে।
কলকাতার বাইরে দীর্ঘদিন স্টেজ শো করে অবশেষে জিয়াগঞ্জ এ নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন অরিজিৎ সিং। এবং ফিরে এসেই নিজের প্রাক্তন বিদ্যালয়ে গিয়ে নিজে ইংরেজি শিক্ষিকার পায় ছুয়ে প্রমাণ করে আশীর্বাদ নিলে মরে অরিজিৎ সিং। বরাবরের মতো ঐদিনও নিজের স্কুলে সাদামাটা পোশাকে উপস্থিত হয়েছিলেন অরিজিৎ। বৃহস্পতিবার আচমকা নিজের প্রাক্তন স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে গিয়ে ইংরেজি শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। নিজের মেয়েকে ভর্তি করেছেন বহরমপুরের এক স্কুলে। মাস দুয়েক আগে নিজের প্রাক্তন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অরিজিৎ।
শিক্ষিকা সুনিতাদেবী বলেন, “ছাত্রজীবন থেকেই অরিজিতের স্বভাব, কথা বলার মিষ্টতা, সবার সঙ্গে মেশার মানসিকতা আমাদের মুগ্ধ করত। এখন সাফল্যের শীর্ষে থেকেও সে একটুও বদলায়নি।” অরিজিতের প্রাক্তন শিক্ষক তথা পরিবারের ঘনিষ্ঠ নির্মল মণ্ডল বলেন, “অরিজিৎকে আমরা কোনওদিনই আলাদা হতে দেখিনি। ওর মধ্যে এলিটভাব কোনওদিন প্রকাশ পায়নি। সে আজও মাটির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে।” বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “অরিজিৎ সিং পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্কুল প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবার সঙ্গে তার খোলামেলা ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা চাই অরিজিতের হাত ধরে রাজা বিজয় সিং বিদ্যামন্দির খ্যাতির শিখর ছুঁয়ে ফেলুক।”
Comments are closed.