সদ্য সমাপ্ত তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলের ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করা হয়। তারপর থেকেই তাঁর টিম কাজ করে চলেছে। বারবারই তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের বলা হচ্ছে, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, ঔদ্ধত্য ত্যাগ করতে হবে। তাঁর পরামর্শেই জেলায় জেলায় কাটমানি ফেরত দেওয়ার জন্য তৃণমূলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগী হন। তিন বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রশান্ত কিশোরের অনেক অবদান ছিল। এবার দলীয় কর্মীদের তিনি সরাসরি বৈভব, অহঙ্কার ত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভোটকুশলী পিকে। সেখানে তিনি বলেন, যাঁর যা আছে থাকুক। আমজনতাকে এই বিলাস-ব্যসন দেখানোর প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ এ সব ভালো ভাবে নেয় না। পাশাপাশি, সদ্য তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয় নিয়ে বেশি মাতামাতি না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ওই বৈঠকে প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে প্রশান্ত কিশোর বলেন, অর্থ বা গয়না অনেকেরই থাকতে পারে। কেউ সে সবের ভাগ চাইছে না। কিন্তু এই বৈভব প্রদর্শন বন্ধ করা দরকার। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়।
শাসক দল হওয়ার সুবাদে তৃণমূলের অনেক নেতা, মন্ত্রীরই এখন বৈভব বেড়েছে। জেলায় জেলায় বহু কাউন্সিলর, এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যেরও এখন পা মাটিতে পড়ে না। উত্তর ২৪ পরগনায় অনেক পুরসভার কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্যের একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। মানুষ এসব ভালোভাবে নেয়নি। লোকসভা ভোটে তার প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে। গাড়ি, বাড়ি, টাকাপয়সা, সোনা-রুপোর গয়না ইত্যাদির প্রদর্শন অনেক নেতার কাছে রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বহুবার এই সব নেতাকে সতর্ক করেছেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোথায় কে কী করছে, কী বলছে, কার বাড়ি কেমন, কার ক’টা গাড়ি আছে, সব আমি জানি। আমার চোখকে কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না। প্রশান্ত কিশোরও নেত্রীর সুরেই বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার নেতাদের সতর্ক করলেন। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার দুটি লোকসভা আসন এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন,’দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অনেকে দলীয় নেতা ভালো কাজ করেছেন, আবার কেউ কেউ কিছুই করেনননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সাংগঠনিক কাজে যুক্ত না থেকেও যাঁরা ভোটে লড়ার টিকিট পেয়ে যাবেন ভাবছেন, তাঁরা ভুল করছেন। সাংগঠনিক কাজই নির্ধারণ করবে কোন নেতা ভোটের টিকিট পাবেন।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভোটকুশলী পিকে। সেখানে তিনি বলেন, যাঁর যা আছে থাকুক। আমজনতাকে এই বিলাস-ব্যসন দেখানোর প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ এ সব ভালো ভাবে নেয় না। পাশাপাশি, সদ্য তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয় নিয়ে বেশি মাতামাতি না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ওই বৈঠকে প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে প্রশান্ত কিশোর বলেন, অর্থ বা গয়না অনেকেরই থাকতে পারে। কেউ সে সবের ভাগ চাইছে না। কিন্তু এই বৈভব প্রদর্শন বন্ধ করা দরকার। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়।
শাসক দল হওয়ার সুবাদে তৃণমূলের অনেক নেতা, মন্ত্রীরই এখন বৈভব বেড়েছে। জেলায় জেলায় বহু কাউন্সিলর, এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যেরও এখন পা মাটিতে পড়ে না। উত্তর ২৪ পরগনায় অনেক পুরসভার কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্যের একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। মানুষ এসব ভালোভাবে নেয়নি। লোকসভা ভোটে তার প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে। গাড়ি, বাড়ি, টাকাপয়সা, সোনা-রুপোর গয়না ইত্যাদির প্রদর্শন অনেক নেতার কাছে রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বহুবার এই সব নেতাকে সতর্ক করেছেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোথায় কে কী করছে, কী বলছে, কার বাড়ি কেমন, কার ক’টা গাড়ি আছে, সব আমি জানি। আমার চোখকে কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না। প্রশান্ত কিশোরও নেত্রীর সুরেই বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার নেতাদের সতর্ক করলেন। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার দুটি লোকসভা আসন এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি বলেন,’দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অনেকে দলীয় নেতা ভালো কাজ করেছেন, আবার কেউ কেউ কিছুই করেনননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সাংগঠনিক কাজে যুক্ত না থেকেও যাঁরা ভোটে লড়ার টিকিট পেয়ে যাবেন ভাবছেন, তাঁরা ভুল করছেন। সাংগঠনিক কাজই নির্ধারণ করবে কোন নেতা ভোটের টিকিট পাবেন।
Comments are closed.