প্রশান্ত কিশোরকে কেন্দ্র করে বিহারে বিজেপির সঙ্গে তাদের জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের বিরোধ

ছাত্র নির্বাচন ঘিরে বিহারে দ্বৈরথ নীতীশের দলের সঙ্গে তাঁর জোটসঙ্গী বিজেপির। এবিভিপি-জেডি (ইউ) এর ঝামেলায় বিজেপির অভিযোগের আঙুল জেডি (ইউ) ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কিশোরের দিকে। সমস্যার শুরু দিন দু’য়েক আগে। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান নীতীশের দলের সমর্থকরা। এরপর এবিভিপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জেডি(ইউ)। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয় স্থানীয় এবিভিপি কার্যালয়ে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় কয়েকজন এবিভিপি সমর্থকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব ‘প্রেস রিলিজে’ অভিযোগ করেছে, ছাত্র নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগের তির পুলিশ প্রশাসন ও জেডিইউ ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কুমারের দিকে। প্রেস রিলিজে বলা হয়, ‘এবিভিপি প্রার্থী এবং সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।’ এবং নাম করে এর পেছনে যে হাত রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের তাও ইঙ্গিত করা হয়। যদিও বিজেপি সরাসরি নাম নেয়নি প্রশান্ত কিশোরের। প্রশান্ত কিশোরেরও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে। তবে জেডি (ইউনাইটেড) এর দলীয় মুখপাত্র এই অভিযোগকে ‘অহেতুক’ বলে মন্তব্য করেছেন। একটি ছোট্ট ঘটনা নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে তাঁর দাবি।
প্রশান্ত কিশোরকে ২০১৪ সালে নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। ২০১২ সালে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের মোদীর জয়ের ক্ষেত্রেও অন্যতম ভূমিকা ছিল তাঁর। প্রায় ছ’বছর বিজেপি সঙ্গে যুক্ত থাকার পর চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নীতীশ কুমারের জনতা দলের (ইউনাইটেড) ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। দলে নীতিশের পরেই তাঁর স্থান।

Comments are closed.