রাজ্যের প্ৰাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট সিপিএম নেতা প্রয়াত নিরুপম সেনের কেন্দ্রে এবার প্রার্থী তিনি। একুশের নির্বাচনে বামেদের তরুণতম মুখ, বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী পৃথা তা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে সিপিএমের ভোট ছিল ৩৭%। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে যা কমে হয় ১২%।
এই অবস্থায় জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী?
বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে পৃথার উত্তর, মানুষ তৃণমূল বিজেপির সাঁড়াশি আক্রমণে অতিষ্ঠ। অতীতের হিসেব দিয়ে এবারে বামেদের বিচার করলে ভুল হবে।
রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, এবারের নির্বাচনে মূলত দ্বিমুখী লড়াই। সেখানে ঝাঁ চকচকে কেরিয়ার ছেড়ে রাজনীতিতেই কেন? তরুণ সিপিএম প্রার্থীর জবাব, দেখুন সাধারণ মানুষের কিছু অংশ যতই রাজনীতি নিয়ে নাক সিঁটকোন না কেন এখনও আমাদের দেশে যে কোনও কাজে, আপদে বিপদে রাজনৈতিক নেতাদের কাছেই যেতে হয়। এই অরাজক মুহূর্তে আমাদের ঘর ছেড়ে বেরোনোটা একান্ত প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন- WB Electon 2021 Live: সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলা, অভিযোগ TMC র বিরুদ্ধে]
২০১১ সালে পালাবদলের পর সিপিএমের ধারাবাহিকভাবে শক্তি ক্ষয় হয়েছে, মিটিং মিছিলে জনজোয়ার দেখা দিলেও ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েনি। এর কারণ কী? পৃথা দলের ভুল ত্রুটির কথা স্বীকার করলেও, পাশাপাশি জানালেন, বামপন্থীদের থেকে মানুষের প্রত্যাশা অনেক, অন্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে যা নেই, যার ফলে আমাদের কোনও কিছু ভুল হলে তা মানুষ অনেক বড় করে দেখেন।
পার্টি কর্মীদের নিয়ে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন পৃথা। বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণের পাশাপাশি খানিকটা প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তরুণ প্রার্থীর গলায়। পৃথা জানালেন, রাজ্যসরকার রেশন ব্যবস্থা নিয়ে যে পরিকল্পনা নিয়েছেন ভালো, সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ পরিকল্পনা ভালো হলেও তার বাস্তব রূপায়ণ হয়নি।
বাম যুব নেত্রীর দাবি, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্পের সূচনা বাম জামানায়, প্রচারের অভাবে তা মানুষ জানতে পারেননি।
অবসরে বই পড়তে, সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। কোনও ব্যক্তিগত ইচ্ছে যা থেকে রাজনীতিতে আসা, ভোটে দাঁড়ানো? একুশের নির্বাচনে আলিমুদ্দিনের তরুণতম সৈনিক পৃথার উত্তর, তিনি স্বপ্ন দেখেন এক শ্রেণীহীন সমাজের। সেই লক্ষ্যেই বামপন্থীদের লড়াই।
Comments are closed.