১৭ টি রাজ্যের ৫৫ রাজ্যসভা আসনে ২৬ মার্চ ভোট ঘোষণার পরেই টিকিট পাওয়া নিয়ে জোর লড়াই কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কি রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃত্বের উপরেই রাজ্যসভার ভোটে ভরসা করা হবে না কি নতুন নেতাদের সাংসদ করে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চ কক্ষে, এ নিয়ে জোর নাটক শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। রাজ্যসভার ৫৫ আসনের মধ্যে অন্তত ১০ টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। এদিকে টিকিট পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে লবিবাজির কথাও উঠে আসছে। এর মধ্যেই জল্পনা ছড়াচ্ছে বছর খানেক আগে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে নিয়ে। লোকসভা ভোটের মুখে প্রিয়াঙ্কাকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নিয়ে আসেন রাহুল গান্ধীরা। উত্তরপ্রদেশের পূর্ব অংশের সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাঁকে। মা সনিয়া গান্ধীর দখলে থাকা আমেঠি কেন্দ্র থেকে তাঁর ভোটে লড়ার জল্পনা শুরু হলেও পরে তা হয়ে ওঠেনি। এই প্রেক্ষিতে দলের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার ওজন বাড়াতে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করার কথা উঠে আসছে।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং গুজরাত থেকে দুটি করে এবং মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা থেকে দুটি করে রাজ্যসভার আসন পেতে পারে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বিহার থেকে অন্তত একটি আসন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। পাশাপাশি বাংলা থেকে নির্দল সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জির আসন পূরণে জোট সঙ্গী বামেদের সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। দিগ্বিজয় সিংহ, মধুসূদন মিস্ত্রি, কুমারী সেলজা, মতিলাল ভোরা সহ কংগ্রেসের মোট ১১ পোড় খাওয়া রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকেই ফের মনোনয়ন পেতে চাইছেন। এদিকে কে সি বেনুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরযেওয়ালার মতো কংগ্রেসের মুখপাত্র ও বিভিন্ন সাধারণ সম্পাদক টিকিট পাওয়ার দৌড়ে আছেন।
শোনা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের একটি আসনেই প্রায় হাফ ডজন নেতা টিকিট পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হলেন মুকুল ওয়াসনিক ও গুজরাত রাজ্যে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব সাতভ। একইভাবে গুজরাত থেকে মধুসূদন মিস্ত্রি ফের মনোনয়নের দাবিদার। সেই দৌড়ে রয়েছেন শক্তিসিংহ গোহিল, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়া প্রমুখ। মধ্যপ্রদেশে আবার দিগ্বিজয় সিংহের জায়গায় রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কমলনাথের সঙ্গে যাঁর লড়াই সর্বজনবিদিত। এখান থেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সাংসদ করে সিন্দিয়া-কমলনাথের লড়াইয়ে রাশ টানতে চাইছে কংগ্রেস। আবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জোর লড়াই করা অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটের রাজ্য রাজস্থান থেকেও প্রিয়াঙ্কাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি উঠেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে জোর লড়াই ও লবির কথা উঠে আসছে কংগ্রেসের অন্দরে।
Comments are closed.