একসময় দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হতো প্রতিনিয়ত, আজ তিনি পাঁচটি বিলাসবহুল হোটেলের মালিক, রইল মিঠুনের জীবনের অজানা কাহিনী
ভারতবর্ষের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন মিঠুন চক্রবর্তী।মিঠুন চক্রবর্তীর জন্ম হয় ১৬ জুন ১৯৫০ সালে। তবে তিনি মিঠুন চক্রবর্তী নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। তিনি একজন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক, লেখক, সমাজসেবক, উদ্যোক্তা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং সাবেক । বলিউড থেকে টলিউড বহুদিন তিনি দাপিয়ে কাজ করে বেরিয়েছেন। আজও তার একশন সিনেমা গুলি দেখে মানুষের বেশ আনন্দ পায়। কথাতে বলা হয় কষ্ট করলে জীবনে কেষ্ট মেলে। মিঠুন চক্রবর্তী কে দেখে এই কথাই প্রমাণিত হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়।
এখনো পর্যন্ত এই অভিনেতা অনেক জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রথমবার এই অভিনেতা ১৯৯৮ সালে ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ ছবির জন্য তৃতীয় সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।১৯৯২ সালে
সেরা অভিনেতার জন্য তিনি জাতীয় পুরষ্কার পান, ‘তাঁহাদের কথা’ ছবির জন্য। ১৯৯১ সালে
‘অগ্নিপথ’ ছবিতে কৃষ্ণন আইয়ার এমএ নারিয়াল পানিওয়ালার অভিনব ভূমিকার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী ফিল্মফেয়ার সেরা সহায়ক অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৭৬ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর বলিউডে পাড়ি দেন।
অভিনেতা রাজনীতিবিদের পাশাপাশি তিনি কিন্তু বহুগুণ সম্পন্ন একজন মানুষ। এক সময় তিনি খুবই গরিব ছিলেন কিন্তু এখন নিজের পরিশ্রমের দ্বারা তিনি আজ প্রায় ৪ কোটি ডলারের মালিক। চার কোটি ডলার মানে ভারতীয় মুদ্রায় আড়াইশো কোটির বেশি টাকা।
এর পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তীর অনেক হোটেল আছে। তার পাঁচটি বিলাসবহুল হোটেল বর্তমানে আছে। তামিলনাড়ুর উটিতে একটি হোটেল রয়েছে যে হোটেলটির সাদা ও কালো রঙের। হোটেলে ৫৯ টি ঘর রয়েছে। ভিতরটি সুন্দর লাইট দিয়ে আলোকিত করা। হোটেলটির বাইরে এবং ভিতরে সবুজ গাছে পূর্ণ। হোটেলের ভিতরেই রয়েছে রেস্তোরাঁ সুইমিং পুল ডিস্কো ইনডোর প্লে জোন একটি মিডনাইট কাউবই বার। শরীরচর্চা ও হাঁটার জায়গাও আছে।
Comments are closed.