পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৩৩২ জন সেবায়েত এবং ৪৭ জন কর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে কেন তারা জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খোলার পক্ষপাতী নয়, ওড়িশা হাইকোর্টে তার স্বপক্ষে যুক্তি দিল নবীন পট্টনায়কের সরকার।
গত ৩০ মে আনলক ১ পর্যায়ে ধর্মস্থানগুলিকে খোলার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নির্দেশিকায় বলা হয় ক্যান্টেনমেন্ট জোনের বাইরে ধর্মস্থানের দরজা খুলে দেওয়া যাবে। এরপরেও পুরীর জগন্নাথ মন্দির না খোলায় হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এখনই কেন রাজ্যের ধর্মস্থান খোলার কথা ভাবা হচ্ছে না, তার যুক্তি দিতে গিয়ে ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের মোট ৩৩২ জন সেবায়েত এবং ৪৭ জন কর্মীর সম্প্রতি করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, করোনায় মৃত্যুও হয়েছে একাধিক সেবায়েতের। ওড়িশা সরকার হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় বলেছে, পুরীর মন্দিরের সেবায়েত ও আধিকারিক সহ মোট ৮২২ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে ৩৭৮ জনেরই করোনা পজিটিভ। হাইকোর্টে সরকারের তরফে আরও জানানো হয়, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে যথেষ্ট জায়গা নেই। ফলে এখনই মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হলে কোভিড সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ওড়িশার পুরী জেলাতে করোনা ধরা পড়েছে ৯ হাজার ৭০৪ জনের শরীরে। এই পরিস্থিতিতে জগন্নাথ মন্দির খোলা হবে কিনা তার নির্দেশ দেবে ওড়িশা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী সপ্তাহে।
Comments are closed.