শশী থারুরের পর সাবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের ইস্যুতে মানুষের ভাবাবেগের কথা বলে বিজেপির রাস্তা ধরে ইউ টার্ন রাহুল গান্ধীর

শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল। সাবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলার প্রবেশের বিরোধিতা প্রথম দিন থেকেই করছিল কেরল কংগ্রেস। এই ইস্যুতে অন্তত বিজেপির সঙ্গে কোনও ফারাক ছিল না কেরল কংগ্রেসের। সম্প্রতি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও মানুষের ভাবাবেগের দোহাই দিয়ে বিন্দু এবং কনকদুর্গার মন্দিরে প্রবেশকে প্ররোচণামূলক বলেছেন। এবার সাবরীমালা ইস্যুতে ইউ টার্ন নিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিজেপির জুতোয় পা গলিয়ে রাহুল গান্ধী বললেন, সাবরীমালা ইস্যু অত্যন্ত জটিল। এবিষয়ে নির্দিষ্ট অবস্থান নেওয়া সম্ভব নয়,কারণ, এই ইস্যুতে মানুষের ভাবাবেগের প্রশ্ন জড়িয়ে। রবিবার দুবাইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, সাবরীমালা ইস্যুতে যাঁরা ঐতিহ্য এবং রীতির কথা বলছেন, তাঁদের কথায় যুক্তি আছে।
অথচ, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সুপ্রিম কোর্ট যখন সাবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলার প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল, তাকে স্বাগত জানায় কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী নিজে বলেছিলেন, এই রায় মহিলাদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই সময় কেরল রাজ্য কংগ্রেস যখন এই রায়ের বিরোধিতা করে, তখন রাহুল তাকে স্থানীয় নেতৃত্বের ভাবাবেগ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু গত তিন মাসে এই ইস্যুতে কেরলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পালটে গিয়েছে। মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ইস্যুতে কেরলে বিজেপি এবং কংগ্রেস একযোগে সিপিএম সরকারের বিরোধিতা শুরু করেছে।
এদিন রাহুল বলেন, প্রথমে এই ইস্যুতে তাঁর যা অবস্থান ছিল এখন তা অনেকটাই পাল্টেছে। কারণ, কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছে, মানুষের আবেগের যৌক্তিকতা আছে। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল, তাই তা নির্দিষ্ট অবস্থান না নিয়ে মানুষের হাতেই বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের সময় একাধিক মন্দিরে গিয়ে পুজো করেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় বিজেপির মোকাবিলায় তাঁর এই নরম হিন্দুত্বের সমালোচনা করে সিপিএম। এবার সাবরীমালা ইস্যুতে মানুষের ভাবাবেগের কথা বলে বিজেপির রাস্তাই ধরলেন কংগ্রেস সভাপতি।

Comments are closed.