শীত ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ, রাজ্যের পশ্চিম ও উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।
মকর সংক্রান্তিতে তেমন শীত পড়েনি, এদিকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে পারদ। এর মধ্যে শনি ও রবিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বেঁধেছে। আবার কাশ্মীরের ওপর একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা রয়েছে। এর জেরে একদিকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে। পাশাপাশি রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ায় ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। ক্রমশ ভারী হচ্ছে বাতাস। এর জেরে শনি ও রবিবার রাজ্যের পশ্চিম ও উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
মোটামুটি জানুয়ারির মধ্যভাগ পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু মকর সংক্রান্তিতে আশাতীত ঠান্ডা পড়েনি। বরং সে দিন থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার একলাফে প্রায় ২ ডিগ্রি পারদ চড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। দু’দিন আগেও দুপুরে যেখানে গায়ে গরম জামা চাপাতে হত, তাতেই এখন অস্বস্তি হচ্ছে। বেশি হাঁটা-চলা করলেই ঘাম হচ্ছে। যে পরিবেশের সঙ্গে জানুয়ারির মধ্যভাগ পরিচিত নয়। বাঁকুড়া, বর্ধমান, আসানসোল ইত্যাদি জেলাগুলিতেও উর্ধমুখী হয়েছে পারদ। শুক্রবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি। আবহাওয়া দফতর বলছে, মধ্যপ্রদেশের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তা কেটে গেলে তাপমাত্রা ফের কিছুটা নামতে পারে। তবে এই মরসুমে ফের জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
Comments are closed.