৩৫৬ জারির দাবি নিয়েই এবার অস্বস্তিতে বিজেপি। যখন দিল্লিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু দাবি করছেন, ৩৫৬ ধারা যে যে কারণে জারি হয়, তার থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিবঙ্গে। তখন আরেক বিজেপি নেতা রাজীব ব্যানার্জি পোস্ট দিচ্ছেন, কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ এর জুজু দেখালে মানুষ ভালভাবে নেবেন না!
গোলমালের শুরু রাজধানী দিল্লি থেকে। মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ৩৫৬ ধারা যে সব কারণে লাগান হয় তার থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের একটি প্রদেশ মাত্র। ভারতীয় সংবিধান দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। কোনও একটি রাজ্য বা সেই রাজ্যের শাসক দল নিজেদের রাজা ভাবতে পারে না। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীকে মানে না, অপমান করে।
কার্যত একই লাইনে ৩৫৬ নিয়ে কলকাতায় সুর চড়ান সাংসদ অর্জুন সিংহও। কিন্তু তারপরেই যেন ছন্দপতন। প্রকাশ্যে আসে আরেক বিজেপি নেতা রাজীব ব্যানার্জির ট্যুইটার পোস্ট।
সেখানে শুভেন্দু-অর্জুন সিংহের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে গিয়ে ডোমজুড়ে তৃণমূলের কাছে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী রাজীব ব্যানার্জি। বিকেলে একটি ফেসবুক পোস্টে রাজীব লেখেন, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একজন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবেন না।
রাজীবের এই পোস্টে খুব সচেতন ভাবে নীল রং ব্যবহার করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ইস্যুতে শুভেন্দুরা যেভাবে সুর চড়াচ্ছিলেন, রাজীব ব্যানার্জির পোস্টে তাতে জল পড়ল। তাঁরা মনে করছেন, রাজীব ব্যানার্জি এই পোস্টে একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিলেন, তা হল বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পক্ষে দাঁড়াবেন না। বরং সেন্সিবল পলিটিক্সে থাকবেন। সেই সূত্রেই পোস্টে রাজীব জানিয়েছেন, আমাদের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস, দুই বিপর্যয়ে বাংলার মানুষের পাশে থাকা।
শুভেন্দুদের ৩৫৬ জারির দাবি অন্যদিকে চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব ব্যানার্জির পাল্টা পোস্ট, গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা কমার লক্ষণ নেই।
Comments are closed.