করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দু’মাস পিছিয়েছে অযোধ্যা রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ। অবশেষে আগামী ৫ অগাস্ট অযোধ্যা রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান হবে বলে জানাল মন্দির তৈরির দায়িত্বে থাকা রাম মন্দির ট্রাস্ট। করোনার জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে প্রায় ৫০ জন বিশেষ ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
ভক্তরা যাতে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন তার বন্দোবস্ত হিসেবে অযোধ্যাজুড়ে থাকবে সিসিটিভি স্ক্রিনিং এর বন্দোবস্ত। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ওইদিন তিনি উপস্থিত থাকবেন কিনা সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। এছাড়া থাকছেন বিজেপির সব প্রথম সারির নেতানেত্রী এবং রাম মন্দির নির্মাণ আন্দোলনে জড়িত নেতৃত্ব। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত সহ অন্যান্য সদস্য।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া এই ট্রাস্টের উপর ছিল তিন মাসের মধ্যে অযোধ্যা রাম মন্দির তৈরির দায়িত্ব। করোনাভাইরাস ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত অন্যান্য কারণে তা পিছিয়েছে। অবশেষে শনিবার মন্দির তৈরির তারিখ নির্ধারণের জন্য বৈঠকে বসেন ট্রাস্টের সদস্যরা। পঞ্জিকা দেখে ৫ ও ৯ অগাস্ট এই দুটি ‘শুভদিন’ স্থির হয়েছিল। অবশেষে ৫ অগাস্ট তারিখই চূড়ান্ত হয়।
গত বছরের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি পায় রাম লালা। সেখানেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। যে নির্মোহী আখড়া অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলায় তৃতীয় পক্ষ ছিল, ট্রাস্ট তৈরির বিষয়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রকে বিবেচনা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই শুরু হয়ে যায় রাম মন্দির গড়ার তোড়জোড়। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে, রাম লালাকে অযোধ্যার অস্থায়ী মন্দিরের বাইরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গত ২৫ মার্চ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে পালকি করে রাম লালার মূর্তিকে মানস ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। ফাইবারের তৈরি অস্থায়ী এই মন্দিরের কাঠামো পুরোপুরিভাবে বুলেটপ্রুফ। ইতিমধ্যে বিশাল আর্থিক অনুদান জোগাড় হয়ে গিয়েছে। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছিলেন, ভগবান রামের বিশাল মন্দির নির্মাণে যে কোনও অর্থাভাব হবে না, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ।
Comments are closed.