সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রামমন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। এদিন লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা জানিয়ে বলেন, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে ওই ট্রাস্ট মন্দির তৈরির গোটা ব্যাপারটি তত্ত্বাবধান করবে। এই ট্রাস্ট একটি স্বাধীন সংগঠন। মোদী আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক মসজিদ গড়ার জন্য অযোধ্যার অন্য জায়গায় কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা রায়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, তিন মাসের মধ্যে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল,মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যার অন্য জায়গায় পাঁচ একর জমি দিতে হবে।
গত ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই ট্রাস্টে বিজেপির কোনও নেতা থাকবেন না এবং সরকারের তরফে রামমন্দির তৈরির কাজে কানাকড়িও খরচ করবে না সরকার। যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই ট্রাস্টের উল্লেখযোগ্য সদস্য হিসেবে থাকছেন স্বয়ং অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এদিকে দিল্লি বিধানসভা ভোটের দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্দির তৈরির ঘোষণা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাফিক ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাস্ট গঠনের কথা জানাতে হবে, তাই এই ঘোষণা নিয়ে কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই প্রধানমন্ত্রীর। এতে বিধিভঙ্গের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
Comments are closed.