Yes Bank Latest News: রাণা কাপুরের দিল্লির ৩ বাংলোর মূল্য হাজার কোটি! বিক্রি করে বিদেশে পালানোর ছক ছিল?
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুরকে রবিবারই গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবারই শেষ হচ্ছে তাঁর পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ। এর মধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার তরফে মিলল চাঞ্চল্যকর খবর। দিল্লির ৩ টি অভিজাত এলাকায় বিপুল সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে পালানোর ছক কষেছিলেন রাণা কাপুর।
৪০ নম্বর অমৃতা শেরগিল মার্গ, চাণক্যপুরীর ১৮ নম্বর কৌটিল্য মার্গ এবং সর্দার প্যাটেল মার্গের ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভে ৩ টি বাংলোর হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, এই তিনটি সম্পত্তির মিলিত দাম অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা। যদিও কোনওটিই সরাসরি রাণা কাপুরের নামে নেই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাজধানী দিল্লির সেরা প্রোপার্টি ডিলারদের রাণা কাপুর এই তিনটি সম্পত্তির সম্ভাব্য ক্রেতাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
উপরে বর্ণিত তিনটি সম্পত্তি রয়েছে রাণা কাপুরের স্ত্রী বিন্দু কাপুরের নামে। বিন্দু কাপুরের বিরুদ্ধে ৪,৩০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি। জানা গিয়েছে, বিন্দু কাপুর ল্যুটিয়েন্স দিল্লির অন্যতম সেরা জায়গা, ৪০ নম্বর অমৃতা শেরগিল মার্গের বাংলোটি কেনেন ব্লিস অ্যাডোব লিমিটেডের নামে। অন্য দুটি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল ব্লিস ভিলা (দিল্লি) প্রাইভেট লিমিটেডের নামে।
চোখ ধাঁধানো জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত রাণা কাপুর আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তাই তদন্তের জাল কেটে বেরোতে রাণা কাপুর আমেরিকা, ইংল্যান্ড বা ফ্রান্সে পালিয়ে বাঁচার ছক কষেছিলেন। এজন্য আগেই দিল্লি ও মুম্বইয়ের সম্পত্তি বেচে ফেলতে চেয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর। দেশ ছেড়ে পালানোর আগেই দেশে থাকা সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।
রাজধানী দিল্লির অমৃতা শেরগিল মার্গের বিলাসবহুল বাংলোটি গৌতম থাপারের অভন্থা রিয়েলিটি থেকে কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই অভন্থা রিয়েলিটি ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল।
সাত তাড়াতাড়ি হাজার কোটির সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার কৌশল নিলেও, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ইডি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র রাজধানী দিল্লিই নয়, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ের অল্টমাউন্ট রোডে ২০১৮ সালে ১২৮ কোটি টাকা খরচ করে একটি সম্পত্তি কেনেন রাণা কাপুর। এই বাংলোটি মুকেশ আম্বানীর ২৭ তলা বাড়ি অ্যান্টিলার কাছে।
ইডির পাশাপাশি সিবিআইও রাণা কাপুর, তাঁর স্ত্রী এবং ৩ কন্যা- রাখি কাপুর ট্যান্ডন, রোশনি কাপুর ও রাধা কাপুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে ডিওয়ান হাইজিং ফিনান্স লিমিটেড বা ডিএইচএফএলের মালিক কপিল ওয়াধওয়ানের বিরুদ্ধেও।
Comments are closed.