শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর তার আগের দিনই মনোনয়ন তুলে নিলেন রতন মালাকার। সেই সঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সলির জানান, তিনি তৃণমূলে ছিলেন এখনও আছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ওয়ার্ডে ২১ বছরের কাউন্সিলর রতন মালাকার। কিন্তু একুশের পুরভোটে ওই ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবারে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বউ কাজরী ব্যানার্জি। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুর ভোট লড়ার সিদ্ধান্ত নেন রতন। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে উপনির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হলেও কার্যত শাসক শিবিরের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দীর্ঘ দিনের কর্মী রতন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রতন বলেন, টিকিট না পাওয়ায় ‘দুঃখে’ তিনি নির্দল প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চ্যাটার্জি, মদন মিত্রের মতো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন রতন।
Comments are closed.