এতদিন শোনা যাচ্ছিল অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি বা রঘুরাম রাজন কিংবা রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কার কথা। এবার কার্যত একই আশঙ্কার কথা শোনাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার আরবিআই জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব দেশের ভবিষ্যতের ঘাড়ে কালো ছায়ার মতো চেপে বসে থাকবে। এবং লকডাউনের সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনৈতিক গতিবিধির উপর।
গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পর ১৬ তম দিনে আরবিআইয়ের মনিটরি পলিসি রিপোর্ট প্রকাশিত হল। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউন চালুর প্রেক্ষিতে ব্যবসায় যে থমকে যাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে কার্যত পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বর্ণনা করতে গিয়ে একে ‘highly fluid’ বলে ব্যাখ্যা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আরও জানতে ক্লিক করুন, করোনা থাবায় দিশেহারা অর্থনীতিকে সারানোর কী দাওয়াই বাতলে দিলেন নোবেলজয়ী?
করোনা পরিস্থিতির আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ভুগছিল চাহিদার অভাবে। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো করোনাভাইরাস সেই অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছে। পরিস্থিতি এমনই যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে ঘোর দুর্যোগের ঘনঘটা স্বীকার করতে হচ্ছে।
লকডাউন বন্দি দেশে করোনার তীব্রতা, সংক্রমণের মাত্রা আর সময়ের পর্যালোচনা করে আরবিআই জানিয়েছে, কোভিড -১৯ এর সঙ্গে লকডাউন, এই জোড়া ফলার প্রভাবে ২০২০-তে বিশ্বের অর্থনীতির প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছবে না।
আরও জানতে ক্লিক করুন, স্বাধীনতা উত্তর ভারতে সবচেয়ে কঠিন আর্থিক অবস্থা নিয়ে কী বললেন রঘুরাম রাজন?
২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করেছিল আরবিআই। যে আর্থিক বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩১ শে মার্চ। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে জিডিপি-র লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।
করোনাভাইরাস মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করে আরবিআই জানিয়েছে, সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে অ-খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ছে। এদিকে খাদ্য সামগ্রীর দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বহু অর্থনীতিবিদ বলছেন, লকডাউনের কারণে আতঙ্কে মানুষ কেনাকাটা বেশি করলে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
Comments are closed.