যশের তাণ্ডবে সুন্দরবনের জন জীবনের সঙ্গেই বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণ। বহু প্রাণী প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বনকর্মীদের দাবি একাধিক জন্তুর প্রাণহানি হয়েছে। তেমনই এক করুন ছবি দেখা গেল সুন্দরবনের হরিণখালিতে।
রবিবার বিকেলে হরিণখালি ক্যাম্প থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি পুরুষ বাঘকে সজনেখালি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঘটি মারা যায়। একজন বনকর্মী জানান, বাঘটির বয়স হয়েছিল ১০ থেকে ১২ বছর।
শুক্রবার জঙ্গলের কোর এরিয়া থেকে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। দেখা যায় শারীরিকভাবে দুর্বল বাঘটি একটি পুকুর পাড়ে শুয়ে রয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা অসুস্থ প্রাণীটিকে জল খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও বাঘটি সেটি খেতে পারেনি। রবিবার বাঘটিকে বোটে করে সজনেখালি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি।
রাজ্য বন্যপ্রাণ পর্ষদের সদস্য তথা শের নামক এক এনজিও’র সম্পাদক জয়দীপ কুণ্ডু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঘটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। দুর্বলতার কারণে বাঘটি খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করেছিল। এত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না, রাস্তায় মারা গেল।
তিনি আরও জানান, ১০-১২ বছর বয়সী বাঘটি দুর্বলতার কারণে মারা গিয়েছে।
তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাঘটি কোনও খাওয়ার পায়নি। বয়স্ক বাঘেরা অনেক সময় শিকার করতে অসমর্থ হলে খাওয়ারের অভাবে এরকম ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
বোন দফতর মনে করছে, যশের জেরে বনাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার জন্য বাঘটি খাওয়ার জোগাড় করতে পারছিল না। খাওয়ার ওভাবে দুর্বল হয়ে মৃত্যু। বাঘটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে, সেখানেই ওর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান জয়দীপ কুণ্ডু।
Comments are closed.