দুই মাওবাদী মহিলাকে সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করিয়ে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে কেরলের সিপিএম সরকারঃ আরএসএস

সাবরীমালা মন্দিরে দুই মাওবাদী মহিলাকে ঢুকিয়ে কেরলের সিপিএম সরকার মন্দিরের ঐতিহ্য নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করল আরএসএস। আরএসএসের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এর জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের মানুষের ভাবাবেগের বিরোধী কাজের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ইস্তফা দাবি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
‘অর্গানাইজার’এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বিন্দু ও কনকদুর্গা নামে যে দুই মহিলা বুধবার ভোরে সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন, তাঁদের সুদূর পাম্পা থেকে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মন্দিরে আনা হয়। ওই দুই ‘মাওবাদী’ মহিলা পুলিশ প্রহরায় এবং কয়েকজন বাম সমর্থকের সহযোগিতায় মন্দিরের ‘পবিত্র ১৮ টি সিঁড়ি’ টপকে আয়াপ্পা দেবের দর্শন করে কেবল মন্দিরের অপবিত্র করেননি, কেরলের সমস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বিশ্বাস এবং ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে কেরলজুড়ে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপিসহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তাকে সাধারণ মানুষ ও পুণ্যার্থীদের বিক্ষোভ বলে আখ্যা দিয়েছে আরএসএস।
আরএসএসের মুখপত্রের আরও দাবি, কনকদুর্গা ও বিন্দুর আয়াপ্পা দর্শন নয়, হিন্দুদের ভাবাবেগে চরম আঘাত হানাই ছিল উদ্দেশ্য। আর পিনারাই বিজয়ন সরকারের এই দুই মহিলা দর্শনার্থীকে পুলিশি প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশ করানো ছিল সিপিএমের সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের জন্য পিনারাই বিজয়নের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া।
বিন্দু ও কনকদুর্গার আয়াপ্পা দর্শনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি পোস্ট করা হয় তাতে চটেছে হিন্দু সংগঠন। তাঁদের মন্দির গর্ভগৃহে প্রবেশের পর যে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষ এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ করছেন তাকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করবে আরএসএস, বিজেপিসহ অন্যান্য দলগুলি। আরএসএস মুখপত্রে অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং সভায় দলীয় কর্মী আর পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে সিপিএম। শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং মিছিলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, লাঠি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে আঘাত করছে পুলিশ। সাবরীমালা ইস্যুতে চার দিন ধরে অনশন করছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি শিবরঞ্জন। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ শিবরঞ্জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Comments are closed.