ওমির মৃত্যু রহস্য সমাধান করছে সিদ্ধার্থ! আই পি এস অফিসার হয়ে রুদ্র কী করছে? নাকি নিপার ছেলে মানুষি সামলাতে গিয়ে তার সমস্ত পুলিশি বুদ্ধি গায়েব হয়ে গেছে? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই । প্রায় ৫৪ বার বঙ্গ সেরা হয়েছে এই ধারাবাহিক । হাসি মজা গানে ভরপুর এই ধারাবাহিক সকলের অত্যন্ত প্রিয়। এই ধারাবাহিকে পারিবারিক কুট কাচালি, পরিবারের সদস্যদের একে অন্যের প্রতি হিংসা নেই। তারা সবাই একসাথে একে অন্যের সাথে বাঁচতে চায়। সম্প্রতি ধারাবাহিকের নতুন একটি প্রোমো রিলিজ করেছে যেখানে দেখানো হচ্ছে মোদক পরিবারে অর্থাৎ মনোহরাতে বোমা ফিট করেছে ওমি আর সিডও মিঠাই চেষ্টা করছে পরিবারের সদস্যদের এই বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে যে ওমি একটি অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।(যেটা পুরোটাই আসলে ওমির সাজানো ঘটনা)। এই ঘটনার পর ওমির বাবা আর বোন পিঙ্কি দেহ সনাক্ত করতে গেছে। কিন্তু সিদ্ধার্থর কোথাও একটা গিয়ে মনে হচ্ছে যে ওমি এত সহজে মরতে পারে না। কোথাও একটা বড় রকমের কোন কিছু ভুল হচ্ছে। এই কথাটা সে মিঠাই কেও বলে এবং রুদ্রকেও বলে।
কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো সিদ্ধার্থ একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হয়েও সে এই ঘটনার যাবতীয় মিসিং লিঙ্ক সব খুঁজে খুঁজে বার করছে আর রুদ্রকে বলছে। পুলিশ অফিসার রুদ্র সে নিজে বিষয়টা নিয়ে তলিয়ে না ভাবলেও এবং সিদ্ধার্থের কথায় প্রথমে ঠিকমতো আমল না দিলেও শেষে রুদ্র সিদ্ধার্থর বলা কথাগুলো নিয়েই ভাবছে আর এখানেই দর্শকরা রেগে যাচ্ছেন তারা বুঝতে পারছেন না যে পুলিশ অফিসার টা কে? রুদ্র নিজে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার, সেখানে সে ভ্যাবলার মত দাঁড়িয়ে আছে আর যাবতীয় রহস্য খুঁজে বার করছে সিদ্ধার্থ। এই বিষয়টা এতোটাই দৃষ্টিকটু লাগছে যে দর্শকরা এ নিয়ে তাদের মত প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, একজন আইপিএস অফিসারের নাকের ডগায় অপরাধী বারবার পালিয়ে যাচ্ছে আর সে কিছুই করতে পারছে না। তার ওপর সিদ্ধার্থ যেগুলো ভাবতে পারছে সেগুলো রুদ্রর মাথায় আসছে না! কেন? রুদ্রর কি কোনো বুদ্ধি নেই নাকি নিপার পাগলামি সামলাতে পুলিশি জেরা পুলিশি বুদ্ধি গায়েব হয়ে গেছে?
Comments are closed.