সবরীমালায় প্রবেশ করা প্রথম মহিলা বিন্দুকে লক্ষ্য করে পেপার স্প্রে, পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা

পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ফের হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়লেন সবরীমালা মন্দিরে প্রথম প্রবেশ করা মহিলা, বিন্দু আম্মিনি। গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে গত ২ জানুয়ারি সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন বিন্দু আম্মিনি ও কনক দুর্গা। সেই ঘটনা প্রায় এক বছর পার হতে চললেও তাঁদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের রাগ যে কমেনি তা বোঝা গেল মঙ্গলবার। গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে দিয়ে বিন্দুকে আক্রমণের অভিযোগ উঠল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে মহারাষ্ট্রের সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই সহ মোট ৬ জন মহিলাকে নিয়ে কোচির পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান বিন্দু। তাঁদের দাবি, সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশে ইচ্ছুক মহিলাদের পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। সূত্রের খবর, কমিশনারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে রাখা কিছু দরকারি নথিপত্র আনতে যাচ্ছিলেন বিন্দু। সে সময় তাঁর উপর অতর্কিত আক্রমণ করা হয়। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, এক আক্রমণকারীর হাত থেকে বাঁচার মরিয়া প্রচেষ্টা করছেন বিন্দু। তাঁকে লক্ষ্য করে পেপার স্প্রে করছে এক আক্রমণকারী।
সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের নিরাপত্তা চেয়ে যখন কোচির পুলিশ কমিশনারের বাড়ি যাচ্ছিলেন বিন্দু, সেসময় থেকেই একদল আন্দোলনকারী পিছু নেয় বলে খবর। মঙ্গলবার সকালে বিন্দুকে আক্রমণ করার সময় এক আন্দোলনকারীকে চেঁচিয়ে বলতে শোনা যায়, এখান থেকে তিনি যেন আর সবরীমালা মন্দিরে যেতে না পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তাঁকে মাওবাদী বলে দাগিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা। পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীরা বিন্দুকে উদ্ধারের জন্য ছুটে এলে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি চলে। আক্রমণের পরেও বিন্দু তাঁর গাড়ি থেকে ফাইল নিয়ে কমিশনারকে জমা দেন। পরে তাঁকে এর্নাকুলামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে খবর।
বছর ২৮-এর যে যুবক বিন্দুর উপর চড়াও হয় তাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ চিহ্নিত করেছে। শ্রীনাথ নামে ওই ব্যক্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের শাখা সংগঠন ‘হিন্দু হেল্পলাইন’ -এর রাজ্য কোঅর্ডিনেটর বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Comments are closed.