অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা খারাপ। তাই কমে গেল অ্যাপল চিফ টিম কুকের বেতন। শুক্রবার দাখিল করা নথিতে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে কুক বার্ষিক বেতন পেয়েছেন ১১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বর্তমান ডলারের দর অনুযায়ী ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩,২৪,২৭,৬০০ টাকা (৮৩ কোটি টাকার বেশি)। সদ্য শেষ হওয়া বছরে অ্যাপল সিইও টিম কুকের স্যালারি কমে গিয়েছে ৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ২৯,৪২,২০,১০০ টাকা।
২০১৮ সালে টিম কুক বেতন হিসেবে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন ১৫.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান ডলার দর অনুযায়ী ভারতীয় মুদ্রায় যা হয় ১,১২,৬৬৪৭,৭০০ টাকা। তারমধ্যে টিম কুক বেসিক বেতন পেয়েছিলেন ৩ মিলিয়ন ডলার। বাকিটা বোনাস এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণ বাবদ।
২০১৯ সালে টিম কুক উৎসাহ বোনাস বা ইনসেনটিভ বোনাস হিসেবে ৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যাপলে ইনসেনটিভ বোনাস নির্ধারিত হয় লক্ষমাত্রার কতটা বেশি ব্যবসা করা গিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে। ২০১৯ সালে অ্যাপল বার্ষিক লক্ষমাত্রার মাত্র ২৮ শতাংশ বেশি ব্যবসা করতে পেরেছে। আর তারই সরাসরি প্রভাব এসে পড়েছে টিম কুকের বেতনে। ২০১৮ সালে কুক ইনসেনটিভ বোনাস হিসেবে পেয়েছিলেন ১২ মিলিয়ন জলার। সেবার অ্যাপল বার্ষিক লক্ষমাত্রার ১০০ শতাংশ বেশি ব্যবসা করেছিল বলে জানাচ্ছে মার্কিন মুলুকের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
কুকের ২০১৯ এর অর্থ প্রাপ্তির মধ্যেই ঢুকে আছে ৮,৮৫,০০০ ডলার। যা তাঁর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেট বিমানের জন্য খরচ হয়েছে।
বেতনের পাশাপাশি টিম কুক অ্যাপলের শেয়ার থেকেও ১১৩ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে আইফোনের বিক্রি দুর্বল হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। বাড়ন্ত বিক্রির মোকাবিলায় তাই অ্যাপল ক্রমশ ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস বিক্রি করা শুরু করেছে। আইফোন বা অ্যাপলের অন্যান্য গেজেট ব্যবহারকারীরা এই পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের আরও বাড়তি খরচ করতে হবে।
২০১৯ সালে অ্যাপলের নেট সেলস বা মোট বিক্রি ২৬০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আয় হয়েছে ৬৩.৯ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১৮ এর তুলনায় কম। এর ফলেই এক ধাক্কায় ২৯ কোটি টাকা বেতন কমে গিয়েছে সংস্থার সিইও টিম কুকের।
Comments are closed.