গোয়ার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার অর্থাৎ ৩০ মে স্বাধীন রাজ্য গোয়ার প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষ্যে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আমি গোয়ার জনগণের লড়াকু মনোভাবকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের সংগ্রামের কারণেই ১৯৮৭ সালের এই দিনে গোয়া পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল। এই জন্য যোদ্ধাদের অবদান প্রশংসনীয়। গোয়ার উন্নতি হোক।
Today, on the statehood day of Goa, I salute the fighting spirit of the people of Goa. It is due to their struggles that Goa got full statehood on this day in 1987. We value the contributions of the fighters to that cause and appreciate their role. Let Goa prosper.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 30, 2022
গোয়া তাঁদের প্রতিষ্ঠা দিবস ৩০ মে পালন করে, কারণ ৩০ মে ১৯৮৭ সালে গোয়াকে পূর্ণ রাজ্যের তকমা দেওয়া হয়। আর এরপর গোয়ায় সম্পূর্ণ ভাবে ভারতীয় সংবিধান লাগু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে যায়, কিন্তু গোয়াতে আবারও পর্তুগীজরা কবজা করে নেয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু অনেকবার ইংরেজদের কাছে গোয়াকে ভারতের অধীনে করার দাবি করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে যায়, কিন্তু গোয়াতে আবারও পর্তুগীজরা কবজা করে নেয়। উল্লেখ্য, ইংরেজরা ষড়যন্ত্র করে গোয়াকে পর্তুগীজদের হাতে তুলে দেয় আবার। যদিও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু অনেকবার ইংরেজদের কাছে গোয়াকে ভারতের অধীনে করার দাবি করেন। ১৯৬১ সালে ৩৬ ঘন্টা যুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী গোয়া আক্রমণ করে এবং দখল করে। ১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৭ সালের ৩০ মে পর্যন্ত গোয়া, দমন এবং দিউ এক হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল। এরপর গোয়াকে ১৯৮৭ সালে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। ওই বছরই কোঙ্কনিকে গোয়ার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
Comments are closed.