বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কন্যা সানার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া (Sana Ganguly Insta Post)। যদিও সৌরভ রাতে ট্যুইট করে বলেন, ওই পোস্টটি সত্যি নয়। সৌরভ পোস্টের সত্যতা স্বীকার না করলেও কন্যা সানার পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল জল্পনা।
বুধবার সানা গাঙ্গুলি নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি স্টোরি পোস্ট হয়। সেই পোস্টে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ছিল তীব্র আশঙ্কার কথা (Sana Ganguly Insta Post)। লেখক খুশবন্ত সিংহের দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া বইয়ের একটি অংশ উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছিল, আজ আমাদের মধ্যে যাঁরা মুসলিম বা খ্রিস্টান নন বলে নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। সঙ্ঘ ইতিমধ্যেই বামপন্থী ইতিহাসবিদ ও পশ্চিমি মনোভাবাপন্ন যুবসমাজকে নিশানা করতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে ওদের ঘৃণার নজর পড়বে যে স্কার্ট পরে, যারা মাংস খায়, মদ্যপান করে, বিদেশি সিনেমা দেখে। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের মেয়ের ওই পোস্টে আরও লেখা হয়েছিল, বছরে একবার অন্তত মন্দিরে না যাওয়া মানুষদের উপরও এদের নজর পড়বে। নজর পড়বে জয় শ্রীরাম না বলে যারা হাত মেলায় বা চুমু খেয়ে কুশল বিনিময় করে তাদের উপর। শেষে লেখা ছিল, আমরা কেউ আর নিরাপদ নই। ভারতকে বাঁচাতে এই সত্যিটা আমাদের বুঝতেই হবে।
এই পোস্টের কথা জানাজানি হতেই তোলপাড় পড়ে যায়। রাতে ট্যুইট করতে হয় স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলিকে। সৌরভ জানান, দয়া করে সানাকে এসবের বাইরে রাখুন। ওই পোস্টটি সত্যি নয়। সানা এখনও রাজনীতি বোঝার বয়সে পৌঁছয়নি।
মহানাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সৌরভের বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার সময় থেকেই তাঁর এবং বিজেপির সু-সম্পর্কের বিষয়ে বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়। জানা যায়, সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কথা। জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মহারাজকেই তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি? সৌরভ এবং অমিত শাহ, দুজনেই অবশ্য বারবার এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। অমিত শাহের ছেলে জয়কে সঙ্গে নিয়ে সৌরভ বর্তমানে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সামলাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই বলেও জানিয়েছেন সৌরভ। এই পরিস্থিতিতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কন্যা সানার এমন জ্বালাময়ী পোস্ট, নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সৌরভ পোস্টকে সত্যি নয় বলে দাবি করলেও তাই বিতর্ক কমার কোনও লক্ষণ নেই।
Comments are closed.