এবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লা

যা হচ্ছে তা একেবারেই খারাপ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মন্তব্য মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সত্য নাদেল্লাই প্রথম কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব, যিনি বিতর্কিত নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খুললেন।
গত ১৩ জানুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লা। তাঁর সেই বক্তব্য ট্যুইটারে তুলে ধরেন আমেরিকান নিউজ ওয়েবসাইট buzzfeednews.com -এর এডিটর ইন চিফ বেন স্মিথ। বেন তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লা ভারতের নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জানিয়েছেন, যা ঘটছে তা দুঃখজনক। সত্য নাদেল্লা বলেন, আমি দেখতে চাই, কোনও বাংলাদেশি অভিবাসী ভারতের ইউনিকর্ন বা ইনফোসিস সংস্থার সিইও হয়েছেন।
হায়দরাবাদে জন্ম সত্য নাদেল্লার। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি বিখ্যাত মাইক্রোসফট সংস্থার সিইও-এর পদে রয়েছেন। দেশজুড়ে যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তীব্র আন্দোলন চলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্বের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বেন স্মিথের এই ট্যুইটের পর বিস্তারিত ভাবে এক বিবৃতিতে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন নাদেলা। ট্যুইটারে মাইক্রোসফট সিইও লেখেন, প্রতিটি দেশ সীমান্ত দ্বারা নির্দিষ্ট হয় এবং দেশের সুরক্ষা ও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে সেটাই হওয়া উচিত। তবে গণতন্ত্রে মানুষ এবং তার সরকার এ নিয়ে বিতর্ক করতেই পারে। নাদেল্লা আরও লেখেন, ভারতীয় ঐতিহ্য মেনেই আমি বড় হয়েছি। ভারতের বহুবিচিত্র সংস্কৃতিতে আমার বেড়ে ওঠা। সেখান থেকে সুদূর আমেরিকায় অভিবাসী হিসেবে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভারতের প্রতি আমার আশা, সেখানে যে কোনও শরণার্থীই এসে থাকতে পারবেন। তাঁর আকাঙ্খিত স্টার্ট-আপ বিজনেস শুরু করতে পারবেন ভারতেই। কিংবা কোনও বহুজাতিক সংস্থার দায়িত্বে এসে ভারতীয় সমাজ ও অর্থনীতিরই উন্নতিসাধন করবেন।
দেশজুড়ে বিরোধিতা ও আন্দোলনের আবহেই গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে চালু হয়ে গিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগত ছয় অ-মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে সারা দেশে জারি রয়েছে আন্দোলন।

 

Comments are closed.